১২ নভেম্বর ২০২৪, ২১:২৯

কান ধরে মাফ চাইলেন জবি সমন্বয়ক নূর নবী

উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে ছাত্র-শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনা সভায় কান ধরে মাফ চাইলেন জবি সমন্বয়ক নূর নবী  © সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে ছাত্র-শিক্ষকদের সভায় ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ ঘটনার জন্য সবার উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে কান ধরে মাফ চেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাখাটির সাবেক সমন্বয়ক নূর নবী।

আজ মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করার পর উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে ছাত্র-শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনা সভা ডাকা হলে সেখানে এই ঘটনা ঘটে।

সভা চলাকালীন সময়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জবি শাখার সাবেক সমন্বয়ক নূর নবী নিজেকে পুনরায় সমন্বয়ক ঘোষণা দেন এবং বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলার সময় উপাচার্যসহ একাধিক শিক্ষকের সামনে উচ্চস্বরে টেবিল থাপ্পড় দিয়ে কথা বলতে থাকে। এতে কনফারেন্স রুমে উপস্থিত থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে হট্টগোল বেঁধে যায়। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের সাধারণ সম্পাদক রইস উদদীন ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসির আহমেদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।

এরপর সভা চলাকালীন সময়েই দাড়িয়ে কান ধরে সবার কাছে ক্ষমা চান নূর নবী।  তিনি বলেন, আমার কোনো ভুল হয়ে থাকলে সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। 

এসময় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন বলেন, নূর নবী আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্যাগী একজন ছাত্র। সে ভুল করেছে এবং যেহেতু মাফ চেয়েছে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে বিষয়টি নিয়ে আর আলোচনা না করাই ভালো।

এরপর সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি অংশ সমন্বয়ক নূর নবীসহ জবির সব সমন্বয়কে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। তাদের অভিযোগ সমন্বয়করা নিজেদের স্বার্থে সব দিকে কাজ পিছিয়ে রাখছে। তারা আরও দাবি করে, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জন্য ৩ দফা আন্দোলনকেও ভুল প্রমাণ করতে চেয়েছে একাধিক সমন্বয়ক। 

উল্লেখ্য, গত ১৭ আগস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন নূর নবী। এদিকে, গত ১৯ আগস্ট কেন্দ্রীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি উপ-কমিটির (প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন উইং) দায়িত্বে পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জবির সমন্বয়ক থেকে পদত্যাগ করলেও ক্যাম্পাসে এখনও সমন্বয়ক পরিচয় দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।