ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে অংশগ্রহণ ইস্যুতে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে প্রকাশিত একটি সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন দুই শিক্ষার্থী। ‘ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে অংশ নিলেন ছাত্রলীগের দুই নেতা!’ শিরোনামের সংবাদটি নিয়ে ৮ নভেম্বর (শুক্রবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ ও শামসুন নাহার হলের ছাত্রী ইশরাত জাহান সুমনা এবং একই প্রতিষ্ঠানে মো. মহিউদ্দিন নামে এক ছাত্র এই প্রতিবাদ জানান।
প্রতিবাদে ইশরাত জাহান সুমনা বলেন, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে ছাত্রলীগ নেতা ট্যাগ দিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা হয়, যা অত্যন্ত অসম্মানজনক এবং বিব্রতকর। সম্প্রতি সংগঠিত আন্দোলনে আমি (একেবারে শুরু থেকেই) ৫ জুন শুরু হওয়া কোটা আন্দোলন, পরবর্তীতে ৯ দফা এবং ১ দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ ও সমন্বয় করেছি। ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে এই আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদান ও কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়কের ভূমিকায় থাকায় ছাত্রলীগের হুমকি, নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে পুরো সময়জুড়েই। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আমার সক্রিয় কার্যক্রমকে বিবেচনার বাইরে রেখে প্রতিবেদনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বর্ণনা প্রদান নিশ্চয়ই প্রতিবেদকের অপেশাদার আচরণ। আমাকে নিয়ে করা এই রিপোর্টের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং সেটি দ্রুত অপসারণের আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রতিবাদলিতে ইশরাত আরও বলেন, ‘‘কোটা আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলাম শুরু থেকেই। ১৫ জুলাই ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছিলাম। এরপর আমি পদত্যাগ করেছি এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ১৬ জুলাই হল থেকে ছাত্রলীগ তাড়িয়েছি আমরাই। হলকে রাজনীতি মুক্ত করার জন্য আমরাই এগিয়ে এসেছিলাম। আবার, কোটা আন্দোলনের পর প্রত্যেকটা যৌক্তিক আন্দোলনে ছিলাম, এখনো আছি। ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজুতে দাঁড়িয়েছি। এখন হল এবং একাডেমিক এড়িয়ায় দলীয় এবং লেজুড়বৃত্তি রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আবার একত্রিত হয়েছি। হলে দলীয় রাজনীতি কতটা জঘন্য, নির্মম আর গেস্টরুম কালচারের যে নমুনা তার কোনো কিছুই কারো অজানা নয়৷’’
পড়ুন: ‘খাঁচায় বন্দি শেখ হাসিনা’
অন্যদিকে মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে ছাত্রলীগ নেতা ট্যাগ দিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা হয়, যা অত্যন্ত অসম্মানজনক এবং বিব্রতকর। সম্প্রতি সংঘটিত আন্দোলনে আমি (একেবারে শুরু থেকেই) ৫ জুন শুরু হওয়া কোটা আন্দোলন, পরবর্তিতে ৯ দফা এবং ১ দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ ও সমন্বয় করেছি। ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে এই আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদান ও কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়কের ভূমিকায় থাকায় ছাত্রলীগের হুমকি, নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে পুরো সময়জুড়েই। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আমার সক্রিয় কার্যক্রমকে বিবেচনার বাইরে রেখে প্রতিবেদনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বর্ণনা প্রদান নিশ্চয়ই প্রতিবেদকের অপেশাদার আচরণ। আমাকে নিয়ে করা এই প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং সেটি দ্রুত অপসারণের আহ্বান জানাচ্ছি। এরই সঙ্গে আমার আন্দোলনের ভূমিকার বিষয় ক্লিয়ার করে নিউজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, ৭ নভেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ও একাডেমিক এলাকায় সব ধরনের দলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ সংক্রান্ত গণভোট আয়োজন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে একদল শিক্ষার্থী। পরে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে জড়ো হন তারা।
প্রতিবেদকের বক্তব্য
সংশ্লিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। এখানে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো মন্তব্য নেই। তাছাড়া কোনো ব্যক্তিকে অসম্মান, ছোট করা কিংবা কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিবেদনটি করা হয়নি। প্রতিবাদলিপিতে আন্দোলন চলাকালীন ছাত্রলীগ থেকে একজনের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেলেও অন্যটিতে তা স্পষ্ট করা হয়নি।