০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:২৮

কিউএস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চমক

  © সম্পাদিত

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে বড় সফলতা পেয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। মর্যাদাপূর্ণ এ র‍্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয়বারের মতো স্থান লাভ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এশিয়ার ১৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়কে পিছে ফেলে ৩২০তম স্থান অর্জন করেছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। যা গত বছরে ছিল ৪৫১-৫০০ -এর মধ্যে। দেশের ২৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রাবি ৭ম। যা গত বছরে ছিল ১২তম। আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) র‌্যাঙ্কিং মূল্যায়নকারী এই প্রতিষ্ঠানটি তাদের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

প্রকাশিত তালিকা থেকে জানা যায়, এ বছর কিউএস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশের ২৯টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান অর্জন করেছে। ৫৪ স্কোর নিয়ে সবার উপরে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; এশিয়ার মধ্যে ১১২তম। এছাড়া প্রথম দশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এশিয়া ‌র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৫৫তম), বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (এশিয়া ‌র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৫৮তম), ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় (এশিয়া ‌র‌্যাঙ্কিংয়ে ২৫৩তম), ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এশিয়া ‌র‌্যাঙ্কিংয়ে ২৮০তম), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (এশিয়া ‌র‌্যাঙ্কিংয়ে ২৯২তম), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (এশিয়া ‌র‌্যাঙ্কিংয়ে ৩৪২তম), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (এশিয়া ‌র‌্যাঙ্কিংয়ে ৩৫৭তম) এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (এশিয়া ‌র‌্যাঙ্কিংয়ে ৪০১-৪১০-এর মধ্যে)।

বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে করা র‍্যাঙ্কিংয়ের বিষয়ে অন্যতম একটি হলো কিউএস ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং। কিউএস প্রতিবছর কয়েকটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে পৃথিবীর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বার্ষিক একটি র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করে। এই র‍্যাঙ্কিং প্রধানত ১১টি সূচকের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম, পিএইচডিধারী কর্মী ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বিবেচনা করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা, উদ্ভাবন, চাকরিতে স্নাতকদের কর্মক্ষমতা, প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্য, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাফল্য, আন্তর্জাতিক গবেষণা নেটওয়ার্ক, গবেষণা প্রবন্ধের সাইটেশন, পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সংখ্যা, আন্তর্জাতিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অনুপাত, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী বিনিময়ের হার বিচার করেই এ তালিকা করা হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, এ বছরের যে প্রোগ্রেসটা হয়েছে সেটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। তবে আমাদের আরো ভালো করার সুযোগ আছে। সামনের বছরে আমরা যেন আরো এগিয়ে যেতে পারি সেই লক্ষ্যে আমরা সবাই মিলে কাজ করতে চাই। 

র‌্যাঙ্কিংয়ে আরো ভালো করতে বিশেষ কোনো উদ্যোগ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই আছে। আমরা দায়িত্ব নিয়েছি বেশিদিন হয়নি। তবে আমরা একটি সুপরিকল্পিতভাবে সামনে আগাচ্ছি। বর্তমানে আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উৎসাহিত করা ও গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো।