৪-৫ ঘণ্টা মারার পরও পঙ্গু করে হত্যার হুমকি ছাত্রলীগ সভাপতির, একই সুরে কথা অধ্যাপকের
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের কথা সবারই জানা। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পিটিয়ে হত্যা করেন মেধাবী এই শিক্ষার্থীকে। বুয়েট শুধু নয়, সারা দেশের প্রায় প্রতিটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল ছাত্রলীগের টর্চার সেল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলে তুচ্ছ কারণেই ছাত্রলীগের হাতে মারধরের শিকার হতো সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর মুখ খুলতে শুরু করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। জানাচ্ছেন ভয়াবহভাবে নির্যাতিত হওয়ার কথা।
ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী মো. আমানউল্লাহ আমান। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের সাবেক এই শিক্ষার্থী সম্প্রতি ফেসবুকের এক পোস্টে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হাতে নির্যাতিত হওয়ার কথা বর্ণনা করেন।
সেখানে তিনি জানান, ২০১৭ সালে শিবির সন্দেহে তার ওপর চলে অমানুষিক নির্যাতন। শুধু তাই নয়, নেতা-কর্মীরা ৪-৫ ঘণ্টা মারার পরও পঙ্গু করে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন হল শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি ইউসুফ উদ্দীন খান, তখন একই সুরে কথা বলেছিলেন হলটির সিনিয়র আবাসিক শিক্ষক শামসুজ্জোহা (বর্তমানে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এটিএম শামসুজ্জোহা)।
শিবির সন্দেহে নির্যাতন, রক্তাক্ত ছাত্রকে ফের ছাত্রলীগের হাতেই তুলে দিয়েছিলেন ঢাবি অধ্যাপক
তার এই পোস্টের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে শনিবার (২৬ অক্টোবর) মো. আমানউল্লাহ আমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সেদিন আমার সঙ্গে যা ঘটেছিল তা আমি পোস্টে উল্লেখ করেছি। ঘটনার সময়ে অধ্যাপক ড. এটিএম শামসুজ্জোহার অবস্থান ছাত্রলীগের সুরে কথা বলেছিলেন বলেও তিনি জানান।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এটিএম শামসুজ্জোহা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এসব ঘটনায় কেন আমার নাম আসছে তা জানি না। ঘটনার সময়তো অনেক শিক্ষক ছিল। আমরা যতটুকু পেরেছি ছাত্রলীগ থেকে এসব শিক্ষার্থীদের সেভ করে পুলিশের হাতে তুলে দিতাম।
তিনি আরও বলেন, সাধারণত হলগুলোতে এরকম সমস্যা হলে ভুক্তভোগীদের সেভ করা হচ্ছে আমাদের মূল লক্ষ্য থাকে। এজন্য হল প্রভোস্ট-প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলে সেভ করে থাকি। অনেক সময় এটা করতে গিয়ে ছাত্রলীগের রোষানলে পড়তে হতো বলে তিনি দাবি করেন।
“আনুমানিক রাত ২/২.৩০টার দিকে দুইজন কাঁধে করে নিচে হাউজটিউটরের রুমে নিয়ে যায়, সেখানে হল ছাত্রলীগের সভাপতি ইউসুফ উপস্থিত ছিল এবং তার প্রত্যক্ষ নির্দেশ ও সমর্থনে আমার ৪-৫ ঘণ্টা ধরে নির্যাতন করা হয়, ইউসুফ হাউজটিউটর অন্যান্যদের সামনেই আমাকে পঙ্গু করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। হাউজ টিউটর শামসুজ্জোহা সেও ছাত্রলীগের ভাষায় হুমকি ও তিরস্কার করে, পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এরপর পুলিশের গাড়িতে দুইজন নিয়ে তুলে দেয়।
এদিকে ফেসবুকের পোস্টে আমান লেখেন, ৮ই আগস্ট, ২০১৭, সিলেটের জালালাবাদে কোন ছাত্রলীগ নেতা আহত হয়েছে বিরোধীদলের হামলায়। সেটার প্রতিশোধ নিতে মরিয়া ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে। সামনে কমিটি দেবে, অনেকে পদ (ছাত্রলীগ) পাওয়ার আশায় আরও হিংস্র। যে যত হিংস্রভাবে শিবির ধরতে পারবে, জুনিয়রদের বেধড়ক পেটাতে পারবে, তার হলে ছাত্রলীগের পোস্ট পাওয়া প্রায় নিশ্চিত। ২০১৫-১৬ সেশনের জিয়া হলের কায়সার (উর্দু), মাহমুদুল (স্বাস্থ্য অর্থনীতি), মুনাফ (মার্কেটিং), কায়েস (লোকপ্রশাসন), সজীব (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), আলী (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) গালিব (সমাজকল্যাণ), নিযারুল (উর্দু) প্রায় প্রতিদিনই জুনিয়রদের নির্যাতন করতো।
“কায়েস ২০১৭ সালের শুরুর দিকে কাছে টাকা ধার চায়, এর আগেও টাকা ধার নিয়ে পরিশোধ করেনি কায়েস। এজন্য আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানাই, তাতে সে বলে তুই হলে কেমনে থাকিস দেখে নেব। তখন থেকে আমাকে শিবির ব্লেম দেওয়ার চেষ্টা করে। ২০১৭ সালের ঈদুল ফিতরের ছুটিতে বাড়িতে গেলে আমার ট্রাঙ্ক ভেঙ্গে ৫০০০ টাকা চুরি করে কায়সার (উর্দু), মাহমুদুল (স্বাস্থ্য অর্থনীতি), মুনাফ (মার্কেটিং), কায়েস (লোকপ্রশাসন), সজীব (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), আলী (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), গালিব (সমাজকল্যাণ), নিযারুল (উর্দু) আর ঘটনাটা ধামাচাপা দিতে শিবির ব্লেম দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।”
তিনি লেখেন, এর প্রায় দেড় মাস পরেই ৮ আগস্ট, সেদিন ফরমাল গেস্টরুম (যেটা হলের নিচে সবাই গেস্টরুম বলে চিনে) দ্রুত শেষ করে ২য় বর্ষের গণরুমে নিয়ে যাওয়া হয় প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের 'মিনি গেস্টরুম'(নির্যাতন) করার উদ্দেশ্যে ২২৭নং রুমে। সেখানে ১ম বর্ষের সবাইকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও অনেককে মারধর করা হয়, কে শিবির করে বা না করে তা বের করার জন্য।
“আমি আর মোজাম্মেল হল ক্যান্টিন থেকে খেয়ে ২২৭নং রুমে গিয়ে বসি, যেহেতু সেখানে ২য় বর্ষের সবাইকে কমবেশি থাকার কথা। প্রবেশের পরই দেখতে পায় আলী, সজীব, কায়ছার,কায়েস সহ অন্য যাদের নাম উল্লেখ করেছি তারা স্ট্যাম্প ও রড নিয়ে ১ম বর্ষের কয়েকজনকে বেধড়ক পেটাচ্ছে এবং ২য় বর্ষের অন্যরা বসে ফোন চেক করছে ১ম বর্ষের জুনিয়রদের। তাদের মোবাইলে গ্যালারি, ফেইসবুকে কোনো ইসলামিক ছবি, ওয়াজ(আলোচনা) ইসলামি পেজে লাইক, শেয়ার, পোস্ট আছে কিনা। থাকলে শিবির হওয়ার জন্য যথেষ্ট। যেহেতু আমাকে আগের থেকে তারা শিবির ব্লেইম দিতে চেষ্টা করেছে, তাদের উদ্দেশ্য ছিল ২/১ জনকে পিটিয়ে-নির্যাতন করে তাদের মুখ থেকে আমার নামটি বের করা এবং তারপর একসাথে রাতভর নির্যাতন করা।”
তিনি লেখেন, কায়সার ও মাহমুদুল আমাকে ওই রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলে (ঘটনা১), এবং বলে এটা স্পেশাল গেস্টরুম, শুধু হলের ছাত্রলীগের রাজনীতি যারা সক্রিয়ভাবে করে তারাই থাকবে। আমি রুমের বিভীষিকা থেকে বের হয়ে যাই, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত নিজের ফোনটা ওখানে থেকে গিয়েছিল এবং ১ম বর্ষের শাফায়াত নামের একজনের ফোন নিজের মনে করে (ঘটনার১) তাড়াহুড়োই বের হয়ে যাই। হল গেটে গিয়ে বুঝি এটা আমার ফোন না, তখন ফেরত দিতে আসি। আগে থেকে শত্রুতায় থাকা কায়েস-কায়সার-মাহমুদুল-আলী-গালিবরা তখন আমার উপর হামলে পরে, অভিযোগ আমি ফোন থেকে কিছু ডিলেট করতে নিয়ে গেছি। ২২৬নং রুমে ৩য় বর্ষের কয়েকজন পলিটিক্যাল থাকতো (সাইদ-হাবিব-ইমন-রুবেলসহ অন্যান্য ছাত্রলীগ পাতি নেতা), সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। ওখানে কয়েকজন মিলে নির্যাতন করে আমাকে তারপর ৩য় বর্ষের আক্তারুল করিম রুবেল (বাংলা, ১৪-১৫) ২য় তলার ২২৬নং রুমের বেলকুনিতে নিয়ে দাঁড়ায় এবং একটানা গায়ের সর্বশক্তি দিয়ে আমাকে থাপ্পড় মারতে থাকে, এবং এর ভিতর বলতে থাকে, "তুই তো বাঁচবি না আজকে, এখান থেকে লাফ দিয়ে পালা"।
“তার উদ্দেশ্য ছিল, লাফ দিলে হাত-পা ভাঙবে, সাথে শিবির সেটা প্রমাণ করে গণপিটুনি দেওয়া যাবে। কিন্তু নির্মমভাবে মারার পরও আমি লাফ দেইনি। এই রুমে ১ ঘণ্টার অধিক নির্যাতন করা হয় শিবির করি এটি স্বীকার করানোর জন্য। কিন্তু স্বীকার করাতে না পেরে পরে ৩ তলায় নিয়ে যাওয়া হয় (রুম নাম্বারটা মনে না)। সেখানে ছাত্রলীগের হলের নেতারা একত্রিত হয় স্ট্যাম্প ও রড নিয়ে। আবদুল্লাহ আল নাসের (নরম সুরে ভদ্রতার মুখোশ পরে থাকে), নাজমুল, ইমতিয়াজ,আযহারসহ(পরে হল ছাত্রলীগ সভাপতি) হলের অন্যান্য ছাত্রলীগ নেতারা ওই রুমে ছিল। সাথে ৩য় বর্ষের ইমন, রুবেল, সাইদ, হাবিব, ২য় বর্ষের আলী, সজিব, কায়সার,মাহমুদুল,কায়েস। সবাই একজন সন্দেহভাজন শিবির ধরেছে , তাকে মারতে হবে। ওই রুমে প্রথম মারা শুরু করলো আবদুল্লাহ আল নাসের, সাথে ইমতিয়াজ বেধরক কিল ঘুষিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লাম তারপর তুলে মারা শুরু করলো ইমন সহ অন্যরা স্ট্যাম্প ও রড দিয়ে। ফ্লোর থেকে কয়েকজন তুলে ধরে, স্ট্যাম্প ও রড দিয়ে পায়ে এবং পিঠে পেটাতে লাগলো।
তার ওপর নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে তিনি লেখেন, পায়ে রড দিয়ে অতিরিক্ত মারার ফলে আবার আমি ফ্লোরে পড়ে যাই। দাঁড়াতে পারছিলাম না পায়ে রড দিয়ে আঘাত করায়। এভাবে ১-১.৫ ঘণ্টা নির্যাতন করে আর বলতে থাকে শিবির করিস এটা স্বীকার আর তাহলে আর মারবো না। দাঁড়াতে না পারায় এবার আমাকে চেয়ারে বসানো হয়, এবং আবদুল্লাহ আল নাসের লোহার রড দিয়ে পেটাতে থাকে পায়ে এবং বলতে থাকে তোর পা ভেঙ্গে গুড়া করে দিবো, একটা আঘাত পায়ে না লেগে চেয়ারে লাগায় চেয়ারের সামনের দুইটি পা ভেঙ্গে আমি মাটিতে আবার পরে যাই। মাহমুদুল, কায়েস, কায়সার, গালিব, আলী মিলে কতক্ষণ মারছে নিচে ফেলে, সেটা হিসাব করার মতো পরিস্থিতি ছিল না।
“আনুমানিক রাত ২/২.৩০টার দিকে দুইজন কাঁধে করে নিচে হাউজটিউটরের রুমে নিয়ে যায়, সেখানে হল ছাত্রলীগের সভাপতি ইউসুফ উপস্থিত ছিল এবং তার প্রত্যক্ষ নির্দেশ ও সমর্থনে আমার ৪-৫ ঘণ্টা ধরে নির্যাতন করা হয়, ইউসুফ হাউজটিউটর অন্যান্যদের সামনেই আমাকে পঙ্গু করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। হাউজ টিউটর শামসুজ্জোহা সেও ছাত্রলীগের ভাষায় হুমকি ও তিরস্কার করে, পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এরপর পুলিশের গাড়িতে দুইজন নিয়ে তুলে দেয়। পুলিশে ঢাকা মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়, ওসি আমার অবস্থা দেখে বলে, "একে আর কি মারবো, এ তো প্রায় মরে গেছে।" পুরো শরীর কালো হয়ে ফুলে গেছে, পায়ে ফ্রাকচার (দাঁড়াতে পারছিলাম না) এবং বাম কান দিয়ে রক্ত পড়তেছিল, যদিও গজ তুলা দেওয়া ছিল। ৯তারিখে শাহবাগ থানা থেকে রমনা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়, পরবর্তীতে ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে কেন্দ্রীয় কারাগারে।”
এরপর কারাগারে ছিলেন আমান। ৯ দিন পর মুক্তি পেয়েছিলেন উল্লেখ করে পোস্টে লেখেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৯ দিন পর মুক্তি পেয়ে শুনি আমার সাথে যাদের ভালো সম্পর্ক ছিল, বিশেষ করে মো. মোজাম্মেল হক (সমাজবিজ্ঞান ২০১৫-১৬ সেশন), কে ২/৩ দিন প্রতি রাতে নির্যাতন করা হতো, সে শিবির করে কি না, আমার সাথে কি সম্পর্ক এসব জানার জন্য। খায়রুল (সমাজবিজ্ঞান), জীবন (আইন), শাহরিয়ার ইমন সানি (উর্দু), তাকেও একই পরিস্থিতিতে পরতে হয়। যার ফোন ভুল করে এনেছিলাম, শাফায়াত। আতাউল যে একদিন বিজয় একাত্তরের মাঠে আমাকে ছালাম দিয়েছিল এবং ২/১ মিনিট কথা হয়েছিল তাকেও অনেক মারধর করা হয় এবং হলছাড়া করা হয়। মনির নামে একজনকে ১২ আগস্টও একই সূত্র ধরে নির্যাতন করা হয়। একই ব্যক্তিরা নির্মমভাবে মনিরুল ইসলাম (মনোবিজ্ঞান বিভাগ-২০১৬-১৭ সেশন) নির্যাতন করে।
এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে চাই উল্লেখ করে পোস্টে তিনি আরও লেখেন, আমাকে রমনা থানা থেকে ৫/৯/২০১৬ সালের কাকরাইলে মিছিল, ভাঙচুর ও নাশকতার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। ৩৯তম এসআই পরীক্ষায় ভেরিফিকেশনে আমাকে হেনস্তা করা হয়, সর্বোচ্চ ভালো মাঠ-পরীক্ষা-কম্পিউটার কম্পেটিন্সি-ভাইবা দিয়েও চাকরি হয়নি। এখনও মামলার বোঝা বহন করে চলেছি, চাকরি জীবনে জটিলতায় পড়ছি; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছেলেদের ছাত্রলীগ কর্তৃক নির্যাতিত হয়ে পরবর্তীতে মিথ্যা মামলা আছে, সেগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট কেউ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে কিনা।