ছাত্রীদের ক্যান্টিনের শিঙাড়ায় মিলল পেরেক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী কমনরুমের ক্যান্টিনে শিঙাড়ার মধ্যে এবার মিলেছে পেরেক। আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে কলাভবনের ক্যান্টিনে খাবার খেতে গিয়ে এক শিক্ষার্থী শিঙাড়ায় পেরেকটি পান।
ওই শিক্ষার্থীর নাম ফাবিহা সারওয়ার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
ফাবিহা সারওয়ার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আজ সকালে কলাভবনের চারতলায় ছাত্রীদের কমনরুম থেকে চা ও শিঙাড়া নিই। শিঙাড়া খেতে গিয়ে তাতে পেরেক পাই। একটু অসতর্ক হলে পেরেক গলায় বেঁধে যেত। এর আগের খাবারে চুল ও পাথরের টুকরো পেয়েছি। আজ পেরেক পেলাম। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, একটা ক্যান্টিনে কীভাবে এত অবহেলা করা হয় খাবারের ব্যাপারে।’
ফাবিহা আরও বলেন, ‘আমি যখন ক্যান্টিন মালিকের কাছে অভিযোগ করতে যাই, তখন তিনি সেটি চেঞ্জ করে আমাকে আরেকটি শিঙাড়া ধরিয়ে দেন।’
আরও পড়ুন: ঢাবির ক্যান্টিনের খাবারে ১৪ ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান
বিষয়ে ক্যান্টিনের মালিক আমির হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস কে বলেন, ‘এই শিঙাড়া আমি বানাই না, কিনে এনে বিক্রি করি। যে শিঙাড়া বানিয়ে বিক্রি করে তার নাম মিজান। সে প্রতিদিন আমাকে ১০০ থেকে ১৫০টি শিঙাড়া, সমুচা ও রোল দিয়ে যায়। আজকে যে ঘটনা ঘটেছে, এটা অনাকাঙ্ক্ষিত। শিঙাড়া বানানোর সময় ভুলক্রমে হয়তোবা ভেতরে পড়েছে। আমি ১৯৭৪ সাল থেকে এই ক্যান্টিনে বেচাকেনা করি। এখনো পর্যন্ত কেউ এমন অভিযোগ দিতে পারিনি। তবে আজকের এই ঘটনার জন্য আমি ক্ষমা চাই।’
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দিন আহমেদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘এ ঘটনা সম্পর্কে আমি অবগত। কয়েকজন শিক্ষার্থী আমার কাছে এসেছিল অভিযোগ দিতে। আমি বিষয়টি দেখছি।’