৪০তম বিসিএসের সমাপনী কুচকাওয়াজের দাওয়াত প্রত্যাখ্যান রাবি সমন্বয়কের
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত সরকারি কোনো দাওয়াত গ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার।
৪০তম বিসিএসে নিয়োগপ্রাপ্ত ৬২ জন পুলিশ ক্যাডার (এএসপি) প্রশিক্ষণ শেষে যোগদান অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করে এমনটি জানিয়েছেন তিনি।
পুলিশ বাহিনীর সংস্কার না হওয়া, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ক্যাডার বানানোর অভিযোগসহ শহীদদের হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত কোনো সরকারি দাওয়াতে অংশগ্রহণ করবেন না বলে ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন এই সমন্বয়ক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, দাওয়াতটা স্বজ্ঞানে প্রত্যাখ্যান করছি। প্রথমত কারণ এই ৬২ জন এএসপি হাসিনার আমলে নির্বাচিত হয়েছে। আর কত চুলচেরা বিশ্লেষণ করে বিসিএস (পুলিশ)-এ নিয়োগ হতো তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ব্যক্তি আমার জায়গা থেকে তাই উক্ত প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার পক্ষপাতী নই। তাদের ব্যাপারে তদন্ত হয়েছে কিনা!
দ্বিতীয়ত পুলিশ বাহিনী এখনো কোনো সংস্কার হয়নি। অপরাধীরা এখনো ধরা পড়েনি। তাই আমি শহীদের রক্তের সাথে বেইমানি করে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বৈধতা দিতে পারি না।
দাওয়ার কার্ডটা নিয়ে আপনাদের কাছে দেখানোর উদ্দেশ্য ছিল মামলার নাম ঠিকানায় দাওয়াত পাঠিয়েছে এটা দেখানো। আমি নিতান্তই একজন নগণ্য মানুষ কিন্তু আমার এথিক্স স্পষ্ট, আমার শহীদ ভাই আলী রায়হান, সাকিব আঞ্জুমসহ সকলের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমি সরকারি কোনো দাওয়াত গ্রহণ করব না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, আমরা জানতে পেরেছি কোনোরকম তদন্ত ছাড়াই আওয়ামী লীগের দোসরদের এএসপি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমাদের ভাইদের মৃত্যুর মিছিল এখনো চলছেই। এমতাবস্থায় এই দোসরদের নিয়োগ এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া মানে শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি করা। তাই আমি উক্ত অনুষ্ঠানের একজন আমন্ত্রিত অতিথি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক হিসেবে এই অনুষ্ঠান প্রত্যাখ্যান করলাম।
অপরাধীদের শাস্তির বিষয়ে তিনি বলেন, সেই সঙ্গে আওয়ামী শাসনামলে প্রশাসনে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতিসহ নানা অনিয়ম, অবৈধভাবে নিয়োগের সুষ্ঠু তদন্ত গ্রহণ করার পাশাপাশি আন্দোলনে প্রশাসনের অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।