ঢাবিতে ইয়াহিয়া সিনওয়ারের গায়েবানা জানাজা
দখলদার ইসরাইলের হামলায় নিহত হয়েছেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইয়াহিয়া সিনাওয়ার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) তার হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও গায়েবানা জানাজা নামাজের আয়োজন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরে রাত ১০টায় গায়েবানা জানাজা নামাজের আয়োজন করেন এবং নামাজ শেষে মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে শেষ হয়।
এসময় তারা ‘টু জিরো টু ফোর, জায়োনিজম নো মোর’, ‘শ্যাম শ্যাম শ্যাম, ইউনাইটেড ন্যাশন’,‘ফ্রম দ্যা রিভার টু দ্যা সি, ফেলাইস্ট্যাইন উল বি ফ্রি’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতির বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন ভুঁইয়া বলেন, ইসরাইলের ইহুদি এবং তাদের মদদপুষ্টরা আজকে যদি তোমরা মনে কর ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে বেহেশতে পাঠিয়ে তোমরা বিজয় অর্জন করছে। তবে শুনে রাখ আমাদের গন্তব্য তো বেহেশতই ছিল। আমরা বিজয় অর্জন করেছি। একজন ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে শহীদ করে হামাসকে দমিয়ে রাখা যাবে না। একজন ইয়াহিয়া সিনিয়র শহীদ হয়েছে লক্ষ লক্ষ ইয়াহিয়া সিনওয়ার তৈরি হয়েছে।
আজাদী ফিলিস্তিনের আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, প্রথমে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি জুলাই বিপ্লবে সকল শহীদদের। জুলাই বিপ্লবের শহীদরা আমাদের শিখিয়েছেন কীভাবে জুলুমের প্রতিবাদ করতে হয়। তাদেরই অনুরূপ শহীদ সিনওয়ার। শহীদ আবরারের সাথে দাঁড়িয়ে আছেন শহীদ সিনওয়ার, শহীদ আবু সাঈদের সাথে দাঁড়িয়ে আছেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার।
‘শহীদ সিনওয়ার আমাদের শিখিয়েছেন কীভাবে মৃত্যুকে শৈল্পিক রূপ দিতে হয়। ইসরাইলের সন্ত্রাসীরা তোমরা যদি মনে কর ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যার মাধ্যমে ফিলিস্তিনিকে দমিয়ে রাখবে তাহলে তোমরা ভুল। যেভাবে আবরারকে শহীদ করার পর আবু সাঈদরা জেগে উঠেছে। আবু সাঈদকে শহীদ করার পর মুগ্ধরা জেগে উঠেছে। সেভাবে ইসমাইল হানিয়াকে শহীদ করার পর ইয়াহিয়া সিনওয়ার জেগে উঠেছে, ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে শহীদ করার পর লক্ষ লক্ষ ইয়াহিয়া সিনওয়ার তৈরি হয়েছে।’
উল্লেখ্য, দখলদার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী কর্তৃক বুধবার গাজার রাফাহ শহরের একটি ভবনে অভিযান চালানো হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে ওই ভবনটি হামাসের সিনিয়র নেতারা ব্যবহার করেন। সেই অভিযানে তিনজন নিহতদের মধ্যে ইয়াহিয়া সিনওয়ার একজন।