১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৫৩

বিভাগ থেকে জানানোর ১৫ দিন পরও শহীদ জহিরুলের বিষয়ে জানত না রাবি প্রশাসন

জহিরুল ইসলাম  © টিডিসি ফটো

গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকার পতনের পর বিকেলে জহিরুল ইসলাম নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থী শহীদ হন। নিহত হওয়ার দুই মাস পর আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) প্রকাশ্যে আসলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। 

জানা যায়, নিহত জহিরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাসা গাজীপুরের কাপাশিয়া থানার ঘাগটিয়া ইউনিয়নের পূর্ব পাড়া গ্রামে। তার বাবা তাজুল ইসলাম ও মাতা শাহনাজ পারভীন। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। 

আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম জহিরুলের মৃত্যুর বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট করলে মৃত্যুর বিষয়টি সবার সামনে আসে। যদিও বিভাগ থেকে জহিরুলের জন্য দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছিলেন বলে জানান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শামসুল আরেফিন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি আজ সকালে জেনেছেন বলে জানান অধ্যাপক আমিরুল। 

মো. ইমন নামের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, এত বড় একটা ভার্সিটিতে একজন স্টুডেন্ট মারা গেল অথচ এতদিন পরে খোঁজ হলো। এটা দুঃখজনক। স্টুডেন্টের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। 

রাকিব হাসান নামের আরেক শিক্ষার্থী লিখেছেন, এত গুরুত্বপূর্ণ একটা খবর এমনিতেই দু’মাস পর জানা গেল তার উপর বিভাগ থেকে ১৫ দিন আগে জানানো সত্ত্বেও আজ জানা গেল। ২৯ সেপ্টেম্বর পাঠানো পত্র, আজ ১৫ অক্টোবর আমরা জানলাম কেন? 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, 
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের সাহায্য করার জন্য দরখাস্ত আহ্বান করি। নতুন করে আর কোনো আবেদন জমা না হওয়া আমরা আজ সকল ফাইল যাচাই-বাছাই করতে শুরু করি। এমতাবস্থায় জহিরুলের ফাইলটি সামনে আসার পরে বিষয়টি নজরে আসে। এই প্রসেসিংয়ের কারণে দেরি হয়েছে। 

বিভাগ থেকে নিহতের বিষয়টা জানানো হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যখন দরখাস্ত আহ্বান করি তখন লিখিতভাবে চিঠির মাধ্যমে তারা বিষয়টি অবগত করেছিলেন। তবে মৌখিকভাবে জানানো হয়নি। ফলে আমরা এতদিন অবগত ছিলাম না। 

জহিরুলের পরিবারকে সাহায্য করার বিষয় তিনি বলেন, আমরা তার পরিবারের সাথে কথা বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার পরিবারকে যথাসম্ভব আর্থিকভাবে সহযোগিতা করবে।

এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি শেখ শামসুল আরেফিন দ্যা ডেইলি কম্পাসকে বলেন, দরখাস্ত আহ্বানের পর আমরা লিখিতভাবে ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠির মাধ্যমে বিষয়টা অবগত করি। আমরা দোয়া মাহফিলের আয়োজনও করেছিলাম।