অসদাচরণে অভিযুক্ত অধ্যাপক মোস্তাফিজুরই জাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক
নিজ বিভাগের নারী সহকর্মীর সঙ্গে অসদাচরণ ও বিভাগীয় কার্যক্রমে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক আবু সাঈদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
জানা যায়, গত ২১ মার্চ জাবি কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একজন শিক্ষিকা বিভাগীয় সভাপতির কাছে অধ্যাপক আবু সাঈদ মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অসদাচরণর অভিযোগ করেন। পরে ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সভায় তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ স্বীকার করে আবু সাঈদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে অসদাচরণ করা থেকে বিরত থাকবেন বলে কথা দেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপক জানান, কোনো বিতর্কিত শিক্ষককে প্রশাসনিক পদে দায়িত্ব প্রদান করা হলে সেটি আগের প্রশাসনগুলোর ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রশাসন সংস্কারের মনোভাব হওয়া উচিত পজেটিভ। দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য জায়গায় দায়িত্ব প্রদান করতে হবে। আগের ফ্যাসিস্ট রেজিমের সুবিধাভোগীদের কোথাও যেন পুনর্বাসিত করা না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা উচিত। কিন্তু বর্তমান প্রশাসন বিতর্কিত ও অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব দিচ্ছে, যা কাম্য নয়।
আর পড়ুন: লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
অভিযোগের বিষয়ে অধ্যাপক ড. আবু সাঈদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আগে যে অভিযোগ উঠেছিল, তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছিল।’
এ ব্যাপারে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি জায়গায় সর্বোচ্চ যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কারও বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে, সেটি আবার বিবেচনা করা হবে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালোর জন্য যেটা করা উচিত, আমি সেটিই করব।’
এর আগে ৯ অক্টোবর (বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. এম শামীম কায়সারকে অব্যাহতি প্রদান করে অধ্যাপক ড. আবু সাঈদ মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে এ দায়িত্ব প্রদান করা হয়।