০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৫১

শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ, জাবিতে রাজধানী পরিবহনের ২৪ বাস

জাবিতে রাজধানী পরিবহনের ২৪ বাস  © টিডিসি ফটো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) চার শিক্ষার্থীকে মারধর ও হেনস্তার অভিযোগে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচল করা রাজধানী পরিবহনের ২৪টি বাস আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। 

মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বাসগুলো আটকে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিকাল ৪টায় বাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আলোচনা করে কিছু শর্ত সাপেক্ষে বাসগুলো ছেড়ে দেন। শর্তগুলো হলো, শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নেওয়া, নারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভালো আচরণ করা ও অভিযুক্ত বাস সহকারীকে চাকরিচ্যুত করা।

আরও পড়ুন : জাবির ৭ হলে নতুন প্রভোস্ট

মারধরের শিকার হন ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ৫২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সায়েদ মুয়াজ। এ ঘটনায় হেনস্তার শিকার হয়েছেন আরও তিন ছাত্রী। অভিযুক্ত বাসের সহকারী মো. হান্নান এবং বাসের যাত্রীর নাম তুফান। 
 
ভুক্তভোগী জানায়, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মিরপুর-২ এলাকা থেকে রাজধানী পরিবহনের একটি বাসে করে ক্যাম্পাসে আসছিলেন চার শিক্ষার্থী। তারা স্টুডেন্ট ভাড়া ২০ টাকা দিতে চাইলে বাসের সহকারী ২৫ টাকা চান। ২০ টাকায় হাফ ভাড়া বলে জানালে বাসের সহকারী অসদাচরণ করেন এবং ভুক্তভোগীকে গালিগালাজ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ভুক্তভোগী মুয়াজ তেড়ে গেলে সহকারী হান্নান বাসের সিটের নিচ থেকে লাঠি বের করেন এবং মারধর শুরু করেন। পরে বাসের মধ্যে থাকা তুফান নামের এক যাত্রী সহকারীর সঙ্গে মিলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং ভুক্তভোগী মুয়াজকে মারধর করেন। এ সময় মুয়াজের সঙ্গে থাকা তিন ছাত্রী প্রতিবাদ জানাতে গেলে তাদেরও হেনস্তা করা হয়। এ ঘটনা জানতে পেরে শিক্ষার্থীরা রাজধানী পরিবহনের বাসগুলো আটকাতে শুরু করেন এবং ওই অভিযুক্ত বাসের সহকারী মো. হান্নানসহ ওই বাসটিকেও ক্যাম্পাসে নিয়ে আসেন। 

আরও পড়ুন : জাবিতে ইন্সটিটিউটের নাম থেকে ‘বঙ্গবন্ধু’ বাদ দেওয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সায়েদ মুয়াজ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা ক্যাম্পাসে নিয়মিত বাসে ২০ টাকা  ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করেন। আজও ২০ টাকা দিতে চাইলে বাসের সহকারী অসদাচরণ করেন এবং একপর্যায়ে আমার মা এবং ক্যাম্পাস নিয়ে গালিগালাজ করেন। পরে বাসের সহকারী সিটের নিচ থেকে লাঠি বের করেন এবং মারধর করেন। পরে বাসের এক যাত্রী জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষার্থী শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে সেও মারধর করেন। ছাত্রীরা আটকাতে গেলে তাদেরও হেনস্তা করেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শামীমা নাসরীন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, রাজধানীর বাসের লাইন ম্যান আব্দুর রাজ্জাক আসার পর তাদের কাছে শিক্ষার্থীরা কয়েকটি দাবি জানিয়েছে। তাদের যে বাসের সহকারী অপরাধ করেছে সে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। আর বাস কর্তৃপক্ষ ওই সহকারীকে শাস্তি দেবে বলে জানিয়েছে। তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। 

তিনি বলেন, মশিউর রহমান তুফান নামে যে যাত্রী শিক্ষার্থীদের মারধর করে তার বিরুদ্ধে থানায় ডায়েরি করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে মামলা করা হবে।