ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাবিতে এন্টি জায়োনিস্ট র্যালি
মুসলমানদের অন্যতম পবিত্র স্থান মসজিদুল আকসা পুনরুদ্ধার ও ইসরায়েলী গণহত্যা ও বর্বরতার বিরোধিতা করে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে এন্টি জায়োনিস্ট র্যালি ও আলোচনা সভা।
রবিবার (৬ অক্টোবর) বিকেল ৩ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আলোচনা শুরু হয়। স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদের ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী এ আলোচনা সভার আয়োজন করেন।
আলোচনায় চলচ্চিত্র নির্মাতা জাহিন ফারুক আমিন বলেন, হামাস সন্ত্রাসী সংগঠন নয়। হামাস একটি মুক্তিকামী সংগঠন। ফিলিস্তিনি জনগণকে রক্ষা করতে, নিজেদের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে হামাস আত্মরক্ষামূলক প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়ে যাচ্ছে । সন্ত্রাসী মূলত ইসরায়েল। তারা হিউম্যান রাইটসকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখাচ্ছে। তারা নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে হত্যা করে যুদ্ধাপরাধ করে চলেছে প্রতিনিয়ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম অপু সকল মিথ্যার প্রতি ধিক্কার জানিয়ে বলেন, বিশ্ব মিডিয়া প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করে চলেছে। গাজার নির্যাতিত মানুষদের সম্মিলিত প্রতিরোধকে বিশ্ব মোড়লরা সন্ত্রাসী বলে আখ্যা দিচ্ছে। তিনি বলেন, যুদ্ধের যত ধরনের আইন আছে সব ভঙ্গ করেছে ইসরায়েল। কিন্ত মিডিয়া এ ব্যাপারে অন্ধ। এর মাধ্যমে মূলত বিশ্ব মিডিয়ার আসল চেহারা বেরিয়ে আসছে। মানবাধিকারের নামে ফাঁকা বুলি অন্তঃসারশূন্য প্রতিপন্ন হচ্ছে।
আলোচনার এক পর্যায়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তাশাহুদ আহম্মেদ রাফিম পরিচালিত পথনাটক রেড রুজেজসহ গান কবিতা ইত্যাদির মাধ্যমে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানানো হয়।
ঢাবি শিক্ষার্থী জামালউদ্দীন মুহাম্মদ খালিদির সভাপতিত্বে এন্টি জায়োনিস্ট র্যালিতে অংশ নেন কথা সাহিত্যিক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, কবি হাসান রোবায়েত, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য তুহিন খান, র্যাপ সঙ্গীত শিল্পী আহমুদ হাসান তাবিব এবং বাংলাদেশে অধ্যায়নরত ফিলিস্তিনী ও কাস্মীরী শিক্ষার্থীরা।
আলোচনা শেষে বিকেল ৫ টার দিকে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে র্যালি বের করেন তারা। র্যালিটি রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে ভিসি চত্বর হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।