বৈষম্য দূর না হলে গণতান্ত্রিক শাসন কায়েম হবে না: অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ
বৈষম্য দূর না হলে গণতান্ত্রিক শাসন কায়েম হবে না, বলে মন্তব্য করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন ‘রাষ্ট্রে বা সমাজে চার ধরনের বৈষম্য দূর না হলে গণতান্ত্রিক শাসন সম্ভব হবে না। সেগুলো হলো শ্রেণিগত বৈষম্য, জাতিগত বৈষম্য, ধর্মীয় বৈষম্য এবং লৈঙ্গিক বৈষম্য। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব বৈষম্য দূর করার কোনো আলোচনা এখনো শুরু করেনি।’
শুক্রবার (৪অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজুল ইসলাম লেকচার হলে ‘সমাজ পাঠের উদ্যোগে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান: গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও শ্রমজীবীদের হিস্যা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।
আলোচনায় সভায় কথা বলেন, অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ড. শাহজাদ ফিরোজ, লেখক-অ্যাক্টিভিস্ট তুহিন খান, শ্রমিক সংগঠন সত্যজিৎ বিশ্বাস, পাটকল শ্রমিক আলমগীর হোসেন, গার্মেন্টস শ্রমিক মো. উদয়, ছাত্র আন্দোলনের কর্মী ও চা- শ্রমিক সংগঠক তানজিলা বেগম, রিকশা শ্রমিক সংগঠক ওবায়দুল ইসলাম, ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক সুজয় শুভসহ আরও অনেকে।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ হলো শ্রমজীবী মানুষ। এবারের আন্দোলনে আহত - নিহতের তালিকায়ও শ্রমজীবীরাই বেশি। যে ছাত্ররা আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন তাদের বেশিরভাগই শ্রমজীবী - কৃষিজীবী পরিবারের সন্তান। তা হলে তাদের স্বার্থ কীভাবে রক্ষা হবে?
তিনি বলেন, জিডিপি একটা গোঁজামিলের হিসাব। শ্রমজীবী মানুষ কতটুকু অবদান রাখছে আর রাষ্ট্র তাদের জন্য কতটুকু বরাদ্দ করছে - তার স্বচ্ছ হিসাব আপনি পাবেন না। আর যেটুকু পাবেন তাতেও আকাশ সমান বৈষম্য। সুতরাং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়তে হলে শ্রমজীবীদের দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানির দায়ে ঢাবি অধ্যাপক মিজানের অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ
অ্যাক্টিভিস্ট তুহিন খান বলেন, শ্রম ও শিক্ষা খাতের সংস্কার, শ্রম কাউন্সিল গঠন খুব জরুরি। কারণ শ্রমজীবীরাই দেশের মূল চালিকাশক্তি।
ড. শাহজাদ ফিরোজ বলেন, 'বৈষম্যহীন' ব্যানারে যে আন্দোলনের সূত্রপাত তার অন্তর্গত আকুতি হলো ন্যায় বিচারের প্রশ্ন। দেশে নিউ লিবারেল ইকোনমি চালু রাখবেন কিন্তু জনগণের কোনো সেবা রাষ্ট্র দেবে না তাহলে সমাজ থেকে বৈষম্য দূর হবে না।