৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩:১৯

এখনো দৃষ্টিশক্তি ফিরে পায়নি ঢাবি শিক্ষার্থী, বিসিএস ভাইবা দিয়েও জীবন অনিশ্চয়তায়

বাম থেকে চোখে আহত হওয়ার পরের ছবি মাঝখানে পুলিশের গুলিতে রক্তাক্ত টি শার্ট ও শাহবাগ আন্দোলনরত অবস্থায়  © সংগৃহীত

ছাত্র-জনতা আন্দোলনে পুলিশের ২টি গুলি চোখের ভেতরে চলে যাওয়ায় বাম চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী জসিমউদ্দিন খান। রেটিনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দৃষ্টি ফিরে পাওয়ার আশা ও কমে যাচ্ছে। সম্প্রতি চাকরিতে প্রিলি পাশ করেও চোখের দৃষ্টিশক্তির অভাবে রিটেন দিতে পারেনি। আন্দোলনের আগে বিসিএস ভাইবাও দিয়েছিলেন তিনি। শারীরিক অবস্থার অবনতিতে পড়ায় মনোযোগ দিতে না পারায় ক্যারিয়ার নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এ শিক্ষার্থী।    

ছাত্র-জনতা আন্দোলনে ১৮ জুলাই রামপুরা এলাকায় পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয় ঢাবির এ শিক্ষার্থী। তার শরীরে এখনো ৮৫ টি ছররা গুলি ও চোখের ২ টি গুলি রয়ে গেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। কোটা সংস্কার আন্দোলনে শুরু থেকে সক্রিয় ছিলেন।  

জানতে চাইলে জসিমউদ্দিন খান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এখন পর্যন্ত ৩টি অপারেশন হয়েছে।  চোখে প্রথম অপারেশন হয় ২৮ জুলাই। অপারেশনের পরেও বাম চোখে সব ঝাপসা দেখি। কোনো উন্নতি হয়নি। একটানা বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারিনা, বেশি আলো সহ্য হয়না আবার কম আলোতে ঠিকঠাক দেখিনা। উঁচু-নিচু বুঝতে বেশ অসুবিধা হয়। পড়তে বা লিখতে পারিনা।

তিনি আরো বলেন, এতে করে যে চাকরির কোটা সংস্কারের আন্দোলন দিয়ে শুরু, সরকার পতনের পর সেই চাকরির প্রস্তুতির জন্য এখন পর্যন্ত টেবিলে বসতে পারিনি। কবে পারবো তাও জানি না। প্রিলি পাস করা পরীক্ষার রিটেন হয়ে যাচ্ছে কিন্তু অংশ নিতে পারছি না। ভেবেছিলাম চাকরি না করতে পারলে অ্যাগ্রো ফার্ম দিবো। কিন্তু চোখের আর শরীরের যা অবস্থা সে আশায় গুড়েবালি।

শারীরিক অবস্থা বর্ণনা করে এ শিক্ষার্থী বলেন, ৮৫ টা ছররা গুলি লাগা শরীর একটু হাঁটাহাঁটি করলেই কেমন দুর্বল হয়ে পড়ে। তিনটা মেজর অপারেশন হইলো। চোয়ালের অপারেশন এর জায়গায় অনুভূতি আসতে ৭/৮ মাস সময় লাগতে পারে আবার কোনোদিনও নাও আসতে পারে জানিয়েছে ডাক্তার। এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ভয় পেয়ে বসেছে। জানিনা জীবনে কি হয়।