২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩:৪৫

ঢাবির তিন শিক্ষার্থী সাজেক ভ্রমণে গিয়ে আটকা পড়েছে

সাজেকে আটক ঢাবির শিক্ষার্থীরা  © টিডিসি ফটো

সাজেক ভ্রমণে  গিয়ে আটকা পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একই সেশনের তিন শিক্ষার্থী।সেখানে অবস্থানরত সেনাবাহিনীর কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন সাজেক আটকা পড়া শিক্ষার্থীরা।

আটকে পড়া শিক্ষার্থীরা হলেন, ইতিহাস বিভাগের রাশেদুল মুরশেদ, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের দুই শিক্ষার্থী  আবু মুসা এবং মাহমুদুল হাসান। গত শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় ফিরে আসার কথা থাকলেও ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রাশেদুল মুরশেদ নিরাপত্তাজনিত কারণে আটকে থাকার কথা জানিয়েছেন  দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে।

তিনি বলেন, আমরা ঢাবির তিন জন বন্ধু গত ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে সাজেক ভ্রমণে আসি। ২১ তারিখ সকাল ১০ টায় ঢাকাতে ফেরত যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনো আটকে আছি। এখানে ঢাবির আরো শিক্ষার্থী আছে ১০ থেকে ১২ জন। তিন দিন ধরে আমরা এখান থেকে বের হতে পারছি না।সেনাবাহিনী প্রতিদিন আশার বাণী শোনায় যে নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাবে কিন্তু এখনও কোন অগ্রগতি নেই।

এদিকে সাজেকের পাশেই একটি ব্রিজ ভেঙ্গে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। ফলে খাবার ও পানির সমস্যা তৈরি হয়। পরবর্তীতে ব্রীজ ঠিক করে পানি আনার ব্যবস্থা করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। গোসল করার মতোও পর্যাপ্ত পানি নাই।এখানকার সব খাবার আসে বাইরে থেকে। এখন বাইরে থেকেও খাবার আনতে পারছে না ব্যবসায়ীরা।তাদের রিজার্ভ ও শেষের দিকে। বিদ্যুৎ সঙ্কটের জন্য ফোনেও চার্জ দেয়া যায় না ঠিকমতো। 

আরও পড়ুন: স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে পার্বত্য রাঙামাটি

তিনি আরো বলেন, এখানকার হোটেল ভাড়া প্রথম এ ৫০ শতাংশ করে দেয় রিসোর্ট মালিক সমিতি ও সেনাবাহিনী মিলে। আজকে আবার ৭৫ শতাংশ দিয়েছে। কিন্তু এভাবে আর কতদিন থাকতে হবে জানি না। বাজেটের সব টাকা শেষ। এ ছাড়া বিকাশ করে কিছু টাকা এনেছিলাম সেটাও শেষ। এদিকে আমাদের ক্লাস ও শুরু হয়ে গেছে ভার্সিটিতে। এখানে প্রায় ২ হাজারের ও অধিক মানুষ বন্দী এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। কালকে রাতে আমাদের চোখ কান খোলা রাখতে বলা হয় হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কায়। আমরা পুরোপরি বিচ্ছিন্ন ও শঙ্কিত হয়ে পড়েছি।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দিন আহমেদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমি দ্রুত তাদের বিভাগে যোগাযোগ করে তথ্য নিয়ে প্রশাসনের মাধ্যমে তাদেরকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতেছি।