ওয়েবমেট্রিক্স র্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ এগিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েবমেট্রিক্সের র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অবস্থান ১ হাজার ২৮৩তম এবং বাংলাদেশের সেরা ১৭০ পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অবস্থান দ্বিতীয়। যা এ বছরে প্রকাশিত প্রথম সংস্করণে অবস্থান ছিল তৃতীয়।
সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিং ২০২৪ সালের দ্বিতীয় সংস্করণের (জুলাই) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এ বছরের প্রথম সংস্করণে (জানুয়ারি) রাবির অবস্থান ছিল বৈশ্বিকভাবে ১ হাজার ৪০৬তম ও দেশের মধ্যে তৃতীয়। গত বছরের প্রথম সংস্করণে রাবির বৈশ্বিক অবস্থান ১ হাজার ২১০তম ও দ্বিতীয় সংস্করণে ১ হাজার ১৯২তম এবং উভয় সংস্করণে দেশীয় অবস্থান ছিল দ্বিতীয়।
এর আগে ২০২২ সালের প্রথম সংস্করণে (জানুয়ারি) অবস্থান ছিল পঞ্চম ও বৈশ্বিক অবস্থান ছিল ২ হাজার ৭৬তম ও দ্বিতীয় সংস্করণে (জুলাই) দেশীয় অবস্থান ছিল চতুর্থ ও বৈশ্বিক অবস্থান ছিল ১ হাজার ৫৯৩তম।
প্রতিবেদন অনুসারে, বরাবরের ন্যায় এবারও দেশ সেরা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে যার অবস্থান ১ হাজার ১৪৪তম। যা এ বছরের প্রথম সংস্করণে ছিল ১ হাজার ১২৮তম।
এদিকে এ বছরের দ্বিতীয় সংস্করণে অবস্থান ধরে রাখতে না পেরে দ্বিতীয় অবস্থান থেকে তৃতীয় অবস্থানে বসেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। যার আন্তর্জাতিক অবস্থান ১ হাজার ৪১৬তম। অন্যদিকে চতুর্থ অবস্থান থেকে দুই ধাপ পিছিয়ে ষষ্ঠ অবস্থানে গিয়েছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র্যাঙ্কিং ১৮৯৬)।
তালিকায় দেশসেরা শীর্ষ ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র্যাঙ্কিং ১৭৮০), ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (বিশ্ব র্যাঙ্কিং ১৭৯৩), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র্যাঙ্কিং ১৯৪৫), ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র্যাঙ্কিং ১৯৭৮), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র্যাঙ্কিং ২৩২৩), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র্যাঙ্কিং ২৩২৯)।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, এটি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য খুশির খবর। তবে প্রথম হতে পারলে আরও ভালো লাগত। আমরা যদি গবেষণায় আরেকটু আগ্রহী হয়ে পর্যাপ্ত সময় দেই তবে এশিয়ার মধ্যে আরো ভালো অবস্থানে যেতে পারব। আমার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে সামনে আরও ভালো করার।
প্রসঙ্গত, এই র্যাঙ্কিং প্রণয়নে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষণ পদ্ধতি, বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রভাব, নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ, অর্থনৈতিক প্রাসঙ্গিকতাসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত ভূমিকা বিবেচনা করে মাদ্রিদভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট ছাড়াও তাদের গবেষক ও প্রবন্ধ বিবেচনায় নিয়ে এই তালিকা তৈরি করা হয়।
২০০৪ সাল থেকে ওয়েবমেট্রিক্স নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ের এ র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে আসছে। প্রতি বছর জানুয়ারি ও জুলাই মাসে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে।