সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ধারনের জন্য সংবিধান পুনর্লিখন জরুরি: চবি অধ্যাপক
আমাদের সংবিধানের মৌলিক নীতি সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ধারণ করেনি। তাই সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ধারণের জন্য সংবিধান পুনর্লিখন জরুরি বলে মন্তব্য করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রঞ্জন সংগঠনের উদ্যোগে চাকসু ভবনে অনুষ্ঠিত ‘সংবিধানের সংশোধন নাকি পুনর্লিখন’ বিষয়ে মুক্ততর্কের আলোচনায় তিনি একথা বলেন।
এ অধ্যাপক বলেন, আমাদের সংবিধানকে পুনরায় লিখতে হবে। সংবিধানে জন-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করতে হবে। আমাদের সংবিধানের মৌলিক নীতি সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ধারণ করেনি। তাই সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ধারণের জন্য সংবিধান পুনর্লিখন জরুরি।
মুক্ততর্কে আলোচক হিসেবে ছিলেন, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সমুদ্রবিজ্ঞান ও মৎসবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী ও মার্কেটিং অধ্যাপক ড. ফুয়াদ হাসান।
এছাড়াও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়, পালী বিভাগের সুদীপ্ত চাকমা, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শেখ মাহমুদ হাসান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ফারহানা খান যুথী, আইন বিভাগের তাফহিম উল ইসলাম ও উত্তম কুমার ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের রিজাউর রহমান।
মুক্ততর্কের পরিচালনায় ছিলেন আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, একই বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ফাতিমা যাহরা আহসান রাইসা ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ইসফাকুল কবির আসিফ।
অধ্যাপক ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী বলেন, সংবিধানে এতো বেশি সংশোধন প্রয়োজন যে তা পুনর্লিখনই হয়ে যায়। অধ্যাপক ড. ফুয়াদ হাসান পুনর্লিখনে জোর দিয়ে বলেন, সংবিধানে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা নেই বললেই চলে, তাকে নির্বাহী ক্ষমতা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এই অধ্যাপক।
সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় বলেন, সংশোধন বা পুনর্লিখন যেটাই হোক, কোনো শাসক যেন স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে না পারে ও জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সুদীপ্ত চাকমা সংশোধন আহ্বান করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ৭২-এর সংবিধানে হয়নি। বাঙালি জাতীয়তাবাদ বা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সব মানুষকে প্রতিনিধিত্ব করে না।