১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:৫৬

সীমান্তে স্বর্ণা দাস ও শ্রী জয়ন্তকে হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে মানববন্ধন

সীমান্তে স্বর্ণা দাস ও শ্রী জয়ন্তকে হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে মানববন্ধন  © টিডিসি ফটো

বিএসএফ কর্তৃক স্বর্ণা দাস ও শ্রী জয়ন্তকে নির্মমভাবে হত্যা এবং ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং কর্তৃক বাংলাদেশকে জঘন্য ও বেআইনী হুমকি প্রদানের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজী ভবন থেকে মিছিল নিয়ে সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন করেন তারা।

এসময় ‘পাক-চীন সীমান্তে কাপো থরো থরো, বাংলার সীমান্তে কেন শিশু মারো? স্বর্ণা আমার বোন, জয়ন্ত আমার ভাই, ভাই-বোনকে মারলি কেন মোদির কাছে জবাব চাই। সীমান্তে আর কত বাংলাদেশী মরবে, ভারত? বাংলাদেশ কতকাল নিশ্চুপ থাকবে? ফেলানী থেকে স্বর্ণা, স্বর্ণা থেকে জয়ন্ত তারপর? বাংলাদেশের জলসম্পদ নিয়ন্ত্রণকারী আগ্রাসী দিল্লির দখলদারিত্ব নিপাত যাক' এসব লেখা সম্বলিত প্লেকার্ড শিক্ষার্থীদের হাতে দেখা যায়।

এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ভারতের চামচারা তাদের বন্ধুত্বের নমুনা দিচ্ছে। ভারতকে হাজার টন ইলিশ পাঠানোয়, ওরা আমাদের আবরার, স্বর্ণা, জয়ন্ত, ফেলানীর মতো লাশ উপহার দিয়েছে। হাসিনা-মুদির মতো আমরা বন্ধুত্ব চাই না। বন্ধুত্ব করতে হবে দেশের সাথে  দেশের। ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতে তারা প্রচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। ভারতের আগ্রাশন বন্ধ করতে হবে। স্বর্ণা, ফেলানীর হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা ভারতের সাথে বন্ধুত্বের সিদ্ধান্ত নেব না। এতদিন পর্যন্ত যত হত্যা হয়েছে তার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার করতে হবে। 

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক তারেক ফজল বলেন, বিএসএফ কর্তৃক সিমান্তে স্বর্ণা-জয়ন্ত খুন এবং ভারতীয় প্রতিমন্ত্রী রাজনাথ সিং কর্তৃক বাংলাদেশকে জঘন্য ও বেআইনি হুমকির প্রদানের বিরুদ্ধে এখানে রাষ্ট্রনীতি বিজ্ঞানীদের পক্ষ থেকে আমরা তীব্র ও নিন্দা জানাচ্ছি। ভারতীয় প্রতিমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে আমরা বলতে চাই আপনি আপনার নিজের চর্কায় তেল দিন। আপনি নিজেই নিজ দেশকে বাঁচান। বাংলাদেশকে নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না। বাংলাদেশে যদি একটা বুলেট ছুড়া হয় তাহলে আমরা ১০টা বুলেট ছুড়ব।

অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, এখন বাংলাদেশ আর সেই পর্যায়ে নেই যে আমরা চুপ করে বসে থাকব। আমরা ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির বন্ধুত্ব চাই না, আমরা দেশের সাথে দেশের বন্ধুত্ব চাই। বাংলাদেশ এখন আর ফ্যাসিবাদী সরকারের অধিনে নেই। আজকে যে হত্যাকাণ্ডগুলো হচ্ছে তা পৃথিবীর আর কোথাও হয় না। এগুলো আন্তর্জাতিক আইনের বিরুদ্ধ। আমরা চাই ভারতের