জাবির নতুন ভিসি কামরুল আহসান, কে এই অধ্যাপক?
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেলেন।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুছ সোবহান ও মা মাহফুজা বেগম। তিনি নিজ জেলার আরুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮২ সালে এসএসসি এবং রামগঞ্জ সরকারি মহাবিদ্যালয় থেকে ১৯৮৬ সালে এইচএসসি পাশ করেন।
পরবর্তীতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম ব্যাচের মেধাবী শিক্ষার্থী মোহাম্মদ কামরুল আহসান দর্শন বিভাগ থেকে ১৯৮৯ সালে স্নাতক ও ১৯৯০ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। স্নাতকোত্তর শেষে
তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে ১৯৯৩ সালে প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন। তিনি ১৯৯৭ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০০৩ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০১৩ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন।
এছাড়া কামরুল আহসান ২০০০ সালে বুলগেরিয়ার সোফিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর এবং ২০১৩ সালে কারডিফ ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন।
কর্মজীবনে অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট, সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, বিভাগীয় সভাপতি, লিও ক্লাবের উপদেষ্টা, দর্শন বিভাগ থেকে প্রকাশিত কপুলা সাময়িকীর নির্বাহী সম্পাদকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব কর্ম দক্ষতা এবং সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ এর আজীবন সদস্য এবং ২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশ ফিলোসফিক্যাল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। কামরুল আহসান শিক্ষকদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের জাবি শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সভা, সেমিনার এবং গবেষণা কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের জন্য তিনি যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন। রাজনীতির পাশাপাশি একাডেমিক ও টক-শো ব্যক্তিত্ব হিসেবেও তার পরিচিতি রয়েছে। একজন সমাজ-সচেতন, সজ্জন, জনপ্রিয় এবং দলমত নির্বিশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে তিনি সমাদৃত।