এখনই ক্লাসে ফিরতে চান ঢাবি শিক্ষার্থীরা
শিক্ষক আন্দোলন থেকে শুরু করে সরকার পতনের আন্দোলন শেষ হলেও এখনো ক্লাসে ফিরতে পারেনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। পেনশন স্কিমকে কেন্দ্র করে গত জুলাই মাসে কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষকরা। পরবর্তীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ১৭ জুলাই অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। কোটা সংস্কার আন্দোলন, সরকার পতন আন্দোলনসহ নানান আন্দোলন এবং শিক্ষকদের পদত্যাগের কারণে দীর্ঘ প্রায় দুই মাস পার হলেও এখনও একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়টি।
দীর্ঘদিন বন্ধের ফলে সেশনজট সহ নানান সমস্যার আশংকা করছে উচ্চশিক্ষালয়টির শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগে পরীক্ষা আটকে আছে। তাদের প্রত্যাশা শীগ্রই ক্লাসে ফেরার।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহাম্মদ মুহসিন হলের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রায়হান বলেন, জুলাই মাস থেকে চলমান ছাত্র আন্দোলনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সেশনজোটের একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও প্রশাসনের ব্যাপক পরিবর্তনের পরও ক্লাস খুলে না দেওয়ায় সেশনজটের আশঙ্কা আরও বেড়ে যাচ্ছে। তাই আমার মনে হয় ধারাবাহিকভাবে যত দ্রুত সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যাবলী শুরু করা এবং আটকে থাকা পরীক্ষা গুলো নিয়ে সংকট নিরসনের উদ্যোগ গ্রহন করা।
শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিউটের আরেক শিক্ষার্থী ইফতি বলেন, বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দ্রুত শ্রেণী কার্যক্রমে ফেরারসহ, তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উপাচার্যের কাছে আবেদন জানিয়েছে। নানা ধরনের প্রতিকূলতা থাকলেও আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা চাচ্ছি যত দ্রুত সম্ভব আমাদের শ্রেণী কার্যক্রমসহ স্বাভাবিক শিক্ষা জীবনে ফিরতে, যাতে করে খুব দ্রুত সময়ে আমাদের যে দুই থেকে তিন মাস ক্ষতি হলো তা আমরা ওভারকাম করতে পারি।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির নবনিযুক্ত উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান জানান, সিন্ডিকেট সদস্যদের অনুপস্থিতি ও উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে দ্রুতই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম চালু করা যাচ্ছে না। সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে সিদ্বান্ত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করা হয়েছিল। সেজন্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করতে পারছি না। যদি এক্সিকিউটিভ অর্ডারে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করা হতো সেক্ষেত্রে আমি উপাচার্যের একজিকিউটিভ পাওয়ার ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে পারতাম।