ঢাবির নতুন সহকারী প্রক্টরের দায়িত্বে সেই শেহরীন আমিনসহ ৬ শিক্ষক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টরিয়াল বডিতে যুক্ত হলেন নতুন ৬ সহকারী প্রক্টর। আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে তাদের নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়েছে। এর আগে বিকেলে শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদকে প্রক্টর নিয়োগ দেন প্রশাসন।
নতুন ৬ সহকারী প্রক্টর হলেন- আরবী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহা. রফিকুল ইসলাম, তিনি কলা অনুষদের সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করবেন। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ মাহবুব কায়সার দায়িত্ব পালন করবেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সহকারী প্রক্টরের।
এছাড়া ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম দায়িত্ব পালন করবেন বিজনেস স্ট্যাডিজ অনুষদের সহকারী প্রক্টরের। রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর আলম সিদ্দিকী দায়িত্ব পালন করবেন বিজ্ঞান অনুষদের সহকারী প্রক্টরের।
অন্যদিকে, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের প্রভাষক মো. দেলোয়ার হোসেন সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করবেন সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পদের বিপরীতে। আর লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রভাষক শেহরীন আমিন ভূঁইয়া শুধু সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচিতে নিজ ক্যাম্পাসেই পুলিশের লাঞ্ছনা ও আঘাতের শিকার হয়েছিলেন শেহরীন আমিন ভূঁইয়া। পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নেট দুনিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় তুলেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ঘটনার দিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকার দোয়েল চত্বর ও হাইকোর্টের মাঝামাঝি জায়গায় এ ঘটনা ঘটেছিল।
জানা যায়, সেদিন ঢাবি ও বুয়েটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যৌথ 'মার্চ ফর জাস্টিস' কর্মসূচি থেকে পুলিশ এক ছাত্রকে ধরে নিয়ে যেতে চাইলে শেহরীন আমিন বাধা দেন। এক পর্যায়ে পুলিশ ঢাবি শিক্ষকের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং বল প্রয়োগের হুমকি দেন। এসময় যে শিক্ষার্থীকে ধরা হয়েছে তাকে ছেড়ে দিতে বারবার বলার পরেও পুলিশ সদস্যরা তাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ সদস্যদের থেকে শিক্ষার্থীকে ছাড়িয়ে আনতে ওই শিক্ষার্থীকে ধরে আগলে রাখার চেষ্টা করেন শিক্ষক।
এক পর্যায়ে শেহরীনের হাত মোচড় দিয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় পুলিশ সদস্যরা। এতে হাতে, হাঁটুসহ পায়ে আঘাত পান তিনি। পরে ধস্তাধস্তি করে পুলিশ ছেলেটিকে ধরে নিয়ে যায়। এসময় ঢাবি শিক্ষক শেহরীন আমিনের সঙ্গে থাকা লোক প্রশাসন বিভাগের আরেকজন শিক্ষক অধ্যাপক ড. নুসরাত জাহান চৌধুরীও পুলিশের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন।