২৭ আগস্ট ২০২৪, ২১:১৫

ত্রাণ দিতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা, আহত চবির ১২ শিক্ষার্থী

ত্রাণ দিতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা, আহত চবির ১২ শিক্ষার্থী  © টিডিসি

বন্যার্তদের ত্রাণ দিতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পরিসংখ্যান বিভাগের ১২জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ভোরে মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়িটি ত্রাণ নিয়ে নোয়াখালীর দিকে যাচ্ছিল। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য গত দুই দিন ধরে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি পালন করে আসছে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে ট্রাকে করে নোয়াখালী সেনবাগের উদ্দেশ্যে ত্রাণ নিয়ে রওনা দেয় বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মিরসরাই পার হওয়ার পর জোরারগঞ্জ এলাকায় পৌঁছালে ড্রাইভারের অসাবধানতার কারণে সামনে থাকা একটি গাড়ির সাথে ধাক্কা খায়। এতে সামনের সিটে থাকা ২ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয় এবং ট্রাকের সামনের অংশ পুরো দুমড়ে- মুচড়ে যায়। গাড়িতে বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংগৃহীত তৃতীয় দিনের ত্রাণ ছিল। 

এই ঘটনায় গুরুতর আহত শিক্ষার্থীরা হলেন, পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ফাহিম আহমাদ পলাশ, একই শিক্ষাবর্ষের সাদমান হায়দার ও ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের কায়কোবাদ।

দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মোআশিক সরকার বলেন, একটি টিম নোয়াখালী সেনবাগের উদ্দেশ্যে রাতের তিনটা নাগাদ রওনা হয়েছিল। মিরসরাই পার হওয়ার পর জোরারগঞ্জ এ ত্রাণবাহী ট্রাক দুর্ঘটনায় ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে আর বাকিরাও ব্যাথা পেয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। সবাইকে চমেকে ফ্রি চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।  

তিনি আরও বলেন, পলাশ এর এক পায়ের জয়েন্ট ছুটে গেছে ও দুই পা ভেঙে গেছে ,সাদমানেরও পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। আর কায়কোবাদ মাথায় আঘাত পেয়েছে।

একই বিভাগের আব্দুল্লাহ আবিদ তানভীর বলেন, ৫৩ ব্যাচের কায়কোবাদের মাথায় আঘাত লেগেছিল।  আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছে এখন। বাসায় নিয়ে গেছে ওর পরিবার। আমাদের ৪৯ ব্যাচের পলাশের হিপ জয়েন্ট যে সরে গেছে তার অপারেশন হয়েছে কিন্তু ভাঙ্গা পায়ের অপারেশন ২-৩ দিন পর করতে হবে। অবস্থা এখনো আশঙ্কামুক্ত হয়নি। এতটুকু বলতেছে ডাক্তার। বাকিটা অপারেশনের পর জানা যাবে। আমাদেত ৪৯ ব্যাচের সাদমানের অপারেশন হয়েছে এবং সুস্থ আছে।