ভারতে বাঁধ খুলে দেওয়ার প্রতিবাদ ঢাবিতে, পানির নায্য হিস্যা দাবি
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে এবং ‘উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে’ ডম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২১ আগস্ট) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করেন তারা।
এ সময় ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’ স্লোগান দিতে দেখা যায় বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীদের। স্বাগত বক্তব্যে আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের বলেন, ‘ডম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে আমাদের কয়েকটা জেলা প্লাবিত হয়েছে। শেখ হাসিনার ভারত ঘেঁষার কারণে এ বাঁধ খুলে দিয়েছে মোদি সরকার। এর ফলস্বরূপ আজকের ছাত্রসমাজ শেখ হাসিনাকে লাল কার্ড দেখিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারিনি, ভারতও আমাদের দাবিতে রাখতে পারবে না। তারা অসময়ে বাঁধ দিয়ে রাখে। আমাদের যখন পানির প্রয়োজন হয়, তখন তারা পানি দেয় না। অসময়ে আমাদের ভাসিয়ে দিচ্ছে। আমার ভারতের বন্ধুত্ব চাই, প্রভুত্ব নয়। অবিলম্বে ভারতের দ্বিমুখী নীতি বন্ধ করতে হবে।’
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য ভারতের দালালি করতেছে। ভারতের আগ্রাসন দমিয়ে রাখার জন্য আমরা প্রস্তুত। দরকার হয় আবার প্রাণ দেব, কিন্তু ভারতের কাছে মাথানত করব না।’
আরো পড়ুন: ভারতীয় ঢল-বৃষ্টিতে বন্যা ছড়িয়েছে ৮ জেলায়, আরও বিস্তৃতির শঙ্কা
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত বলেন, ‘আমার বাসা ফেনীতে। আমার এলাকার অনেক মা-বোন বুক সমান পানির ওপর মানবেতর জীবনযাপন করছে। আমাদের ওপর বছরের পর বছর আগ্রাসন চালানো হয়েছে। আজকের ছাত্রসমাজ কোনো তামাশা মেনে নেবে না। ফেনীর এ বন্যা একটা রাজনৈতিক বন্যা। দেশের ছাত্রসমাজকে ফেনীর দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাড়ানোর আহবান করছি।’আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের আহবান জানান তিনি।