১৮ আগস্ট ২০২৪, ০৮:০৩

ঢাবিতে প্রথমবারের মতো একটি হলে বিলুপ্ত গণরুম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদদীন হল  © ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি জসীম উদদীন হলে প্রথম বর্ষ থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত সবাইকে সিট দিয়ে গণরুম বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে হল প্রশাসন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের তত্বাবধানে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের পর ধীরে ধীরে হলে উঠেছে শিক্ষার্থীরা। এ সময়ের মধ্যে হলে শিক্ষার্থীদের বৈধ সিট নিশ্চিতের দাবিতে কয়েকবার রুমগুলো পরিদর্শন করেন হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহিন খান ও আবাসিক শিক্ষকরা। 

হল প্রশাসনের তথ্যমতে, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে হল খোলার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের বৈধ সিট নিশ্চিতের জন্য কাজ করছেন প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকরা। প্রতিটি ফ্লোর ঘুরে ঘুরে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে একজন করে ফ্লোর রিপ্রেজেনটেটিভ করেন প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহীন খান। রিপ্রেজেনটেটিভরা রুমের তালিকা, শিক্ষার্থী ও ফাঁকা সিটের সংখ্যা এবং ফাঁকা রুমের তালিকা জমা দেন। পরে সিনিয়র শিক্ষার্থী ও হল প্রশাসন মিলে ক্রমান্বয়ে সিনিয়র থেকে জুনিয়র সবার সিট নিশ্চিত করা হয়। এতে বিলুপ্ত হয় দীর্ঘদিনের প্রথাগত গণরুম। 

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকার পতনের পর ছাত্রলীগের একক দখলদারিত্বে থাকা একাধিক রুম খালি হয়ে যায়। পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থী যারা হলে ছিলেন, তাদের সঙ্গে কথা বলে হল ছেড়ে দিতে বললে তারা বিনা শর্তে ছেড়ে দিতে রাজি হন। ফলে সিটগুলো খালি হয়ে যায়। এ অবস্থায় হল প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে সব শিক্ষার্থীকে আবাসিক করে প্রথম বর্ষ থেকে মাস্টার্স সব শিক্ষার্থীর বৈধ সিট নিশ্চিত করা হয়েছে। কেউ কোনো ধরনের রুম দখল করেননি। 

আরো পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলছে আজ, তবে...

প্রথম বর্ষ থেকেই বৈধ সিট পেয়ে খুশি শিক্ষার্থীরা। একাধিক শিক্ষার্থী জানান, তাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল- হল বৈষম্যমুক্ত হোক। সব শিক্ষার্থীর সমান অধিকার থাকুক। প্রথম বর্ষ থেকে বৈধ সিট নিশ্চিত করা হোক এবং সিট বন্টনের দায়িত্ব থাকবে হল প্রশাসনের হাতে। শেখ হাসিনার পতনের মাধ্যমে হলের মধ্যে সুশৃঙ্খল উপায়ে এটি সম্ভব হয়েছে বলে তারা মনে করেন।

শিক্ষার্থীদের বৈধ্য দিট নিশ্চিত করতে পেরে খুশি হল প্রশাসনও। হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহীন খান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করে আমি শান্তি অনুভব করি। আমি আমার প্রতিটি কাজে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি রাখতে চাই। তাদের সহযোগিতায় আমি হলকে আরও সুশৃঙ্খল করতে চাই। এ সময় তিনি গণরুম সংস্কার এবং প্রতিটি রুমের ও হলের অভ্যন্তরীণ সকল সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।