১৬ আগস্ট ২০২৪, ১৭:০১

ঢাবির এক হলের ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের বাকি ১৭ লাখ, সভাপতি-সেক্রেটারি দুজনেই পৌনে ৬ লাখ

রিয়াজ ও মুন  © ফাইল ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হলের ক্যান্টিনে ১৭ লাখ টাকা বাকি খেয়েছেন ছাত্রলীগের নেতারা। এর মধ্যে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ ও সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুন দুজনেই পৌনে ৬ লাখ টাকার মতো বাকি খেয়েছেন।

আজ শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ওই হলের ক্যান্টিনে ছাত্রলীগ নেতাদের বাকির একটি তালিকা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের হাতে আসে। সেখানে দেখা যায়, হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ একই বাকি খেয়েছেন ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা আর সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুন খেয়েছেন ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা।

এছাড়াও তালিকায় রয়েছে হল ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী আলী আহসান রিফাতের নাম, তার বাকি ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানেন অনুসারী বলে জানা গেছে।

স্যার এ. এফ রহমান হলের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও ফাউ খেয়েছেন আরো ৪৬ জন। তারা প্রত্যেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।

এছাড়াও, ছাত্রলীগ নেতা ৩১৬ নং রুমের উচ্ছল ৮৫ হাজার ,৪০৯ নং রুমের রবি ১ লাখ ১৮ হাজার,৩১৭নং রুমের সাজু ১২ হাজার,৩০৬ নং রুমের নাহিদ ১ লাখ ১৫ হাজার,২২০ নং রুমের জুয়েল ১ লাখ ১৫ হাজার এবং একই রুমের ছাত্রলীগ নেতা কাজল ৭০ হাজার ,২২২ নং রুমের শুভ ১৭ হাজার, ২১৮ নং রুমের ইমরান ৩ হাজার,৪০৫ নং রুমের লালন ৪হাজার পাঁচশ, ২১৬ নং রুমের আলিফ ১২ হাজার,২২১ নং রুমের বাপ্পি ১৮ হাজার টাকা,২১২ নং রুমের হৃদয় ৩ হাজার, ২১০ নং রুমের হারুন ৭০ হাজার, ২০৫ নং রুমের হাবির ৩ হাজার, ৩১৯ নং রুমের নুহাশ ৩ হাজার, ৩২১ নং রুমের রাহিম সরকার ৫৫ হাজার, ৩১৪ নং রুমের আবদুল আলীম ৬০ হাজার,৩২০ নং রুমের জাওয়াদ ১০ হাজার, ৪০২ নং রুমের তানজিদ আলামিন ৫ হাজার, ৩২২নং রুমের সিফাত ২ হাজার টাকা, ৩০৮ নং রুমের এমরান ২৫০০, ২০৭নং রুমের লাভলু ৩ হাজার, ৩১৫ নং রুমের আফসার ৪৫ হাজার টাকা এবং শাহাদাত ৩০০০, ৫১৫ নং রুমের শাহাদাত ১৫ হাজার ,৫১৬ নং রুমে জাহিদ ৩ হাজার, ৩১৪ নং রুমে সাব্বির ৩ হাজার , ৩১১ নং রুমের বায়জিদ ৪৫ হাজার, ৩২২ নং রুমের বায়জিদ ২০০০, ৫১৪ নং রুমের নাজমুল ৩৫ হাজার, ৩১৪ নং রুমের আসিফ ৩ হাজার, ৪১৭ নং রুমের সিরাজ ৪ হাজার এবং রাজু ৬১ হাজার,৩১৪ নং রুমের অটল ৪ হাজার, ৫২১ নং রুমের লাভলু ৪৮ হাজার টাকা, ৫০১ নম্বর রুমের ২৫০০ টাকা, 
৩১৮ নং রুমের মেহেদী ৩৫০০ টাকা,২২২ নং রুমের বাঁধন ৮ হাজার,৩১৯ নং রুমের শ্যামল ৩০০০, ৫১৬ নং রুমের হাতিম ৫ হাজার, ২১৯ নং রুমের কাব্য ২০০০ এবং সৌরভ ৫ হাজার, ৪১৯ নং রুমের হাসান ৪০০০, 318 নং রুমের মিজান ৩০০০ টাকা বাকি খেয়েছে। 

এ বিষয়ে  ক্যান্টিন মালিক বাবুলের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন,  ছাত্রলীগের  বিগত দুই কমিটির সময় ধরে তারা বাকি খেয়ে আসছে আমার ক্যান্টিনে। প্রত্যেকদিন এ হলের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের খাবার রুমে দিয়ে আসা লাগে। প্রতিদিন তারা দুজনকে  ২০ প্লেট করে খাবার দেওয়া লাগতো।তারা খাতায় বাকি লিখতে দেয় না। তাদের কারণেই আমরা চাইলেও খাবারের মান ভালো করতে পারে না। টাকা গুলো আর কখনো হয়ত ফেরত পাবো না।