রেজিস্ট্যান্স উইকের প্রথম দিনের বিক্ষোভে ছাত্র-জনতার ‘শক্ত বার্তা’
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০৬:১৬ PM , আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০৬:১৬ PM
পূর্বঘোষিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সপ্তাহব্যাপী ‘রেজিস্ট্যান্স উইক' এর প্রথম দিনে বিক্ষোভ মিছিল ও ৪ দফা দাবি জানিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বিকেল ৩ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা।
পরবর্তীতে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি হয়ে হলপাড়া ও ভিসি চত্বর হয়ে শহিদ মিনারে সমাবেশ করেন। শহিদ মিনারে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনকারীরা ১ মিনিট নীরবতা পালন করে ৪ দফা দাবি ঘোষণা করেন।
গতকাল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে বলেন রেজিস্ট্যান্স উইকের অংশ হিসেবে আজকে সারাদেশে যেসকল স্থানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থী জনতা শহীদ হয়েছেন, সেসব পয়েন্ট অভিমুখে ❝রোডমার্চ❞ কর্মসূচি পালিত হবে। এবং শহীদ হয়েছে এমন স্থানে গিয়ে এক মিনিট নীরাবতা পালন করতে হবে।
৪ দফা দাবির প্রথম ২ দফা ঘোষণা করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। প্রথম ২ দফায় তিনি বলেন,
১. ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দল ও সরকার যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। ২. সংখ্যালঘুদের উপর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর পরিকল্পিত হত্যা, ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে।"
৩য় ও ৪র্থ দফা ঘোষণা করেন অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি পরের দুই দফায় বলেন, ৩. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা, এবং হত্যাযজ্ঞকে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারংবার কায়েমের চেষ্টা করছে, তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও নূতন সরকারে তাদের নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। ৪. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তাদের জন্য দ্রুততম সময়ে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে হবে।"
সমাবেশে সমন্বয়করা সারাদেশে আওয়ামী দোসরদেরকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার জন্য দেশের সর্বস্তরের জনগনকে আহবান জানান এবং গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির আহবায়ক আখতার হোসেনের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শেষ করা হয়।