জাবিতে শিক্ষার্থীদের বিজয় মিছিল, দ্রুত সরকার গঠনে সড়কে অবস্থান
শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও স্বৈরাচারের পতন হওয়ায় বিজয় মিছিল করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মিছিল শেষে দ্রুত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিজয় মিছিলটি শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক সংলগ্ন প্রধান ফটকে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে দুপুর তিনটা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত প্রায় ৩০ মিনিট ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান করেন তারা।
এসময় সংসদ ভেঙে দেওয়ায় তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে নিরপেক্ষ, নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের আহ্বান জানান। একই সাথে দেশে ছাত্রলীগ সহ সকল ধরনের ছাত্র রাজনীতি বন্ধের ঘোষণা দেন তারা।
বিজয় মিছিলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সিনেট সদস্য ও স্থানীয় সাধারণ জনতাও যোগদান করেন। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের মিষ্টি বিতরণ করে আনন্দ উদ্যাপন করেন তারা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের এ দাবির সঙ্গে একমত পোষণ মিছিলে যুক্ত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর শুধু পদত্যাগ করলেই হবে না, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। যাদের নির্দেশে ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছিল তাদের প্রত্যেকেরই বিচার করতে হবে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আহসান লাবিব বলেন, 'শিক্ষার্থীদের অনেক ত্যাগের বিনিময়ে এই স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়েছে। তাই আমাদের সকলেরই দায়িত্ব এই সফলতা ধরে রাখা। সেই সাথে দেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এই সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সেনা শাসন চাই না। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হোক'।
এসময় শিক্ষার্থীরা আরও জানান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল ধরনের ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। কেন্দ্রীয় জাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্রদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের হামলার সঙ্গে শিক্ষক, ছাত্রলীগ সহ যারা জড়িত ছিলেন সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।