০৫ আগস্ট ২০২৪, ২২:৪৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধ হলে উঠল ছাত্রদল-শিবির

  © ফাইল ফটো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের তালা ভেঙে দখল নিলেন শাখা ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা। আজ সোমবার সন্ধ্যায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল ও শাহ আমানত হলের তালা ভেঙে বিভিন্ন কক্ষ দখল নিয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর জানাজানি হওয়ার পরই শাখা ছাত্রদলের বিভিন্ন নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসে আসেন। একই সঙ্গে ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাও ক্যাম্পাসে আসেন। পরে তাঁরা ছাত্রলীগের দখল করা হলের বিভিন্ন কক্ষের তালা ভেঙে তল্লাশি করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও অনুষদের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও সে সময় ছিলেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

নেতাকর্মীরা তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী, শাহজালাল, শাহ আমানত, এ এফ রহমান ও আলাওল হলের বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ধারালো অস্ত্র ও একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের দাবি করেছেন।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মহসিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন নির্যাতন সহ্য করে হলের বাইরে ছিলেন। এখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে যে যাঁর বরাদ্দ করা কক্ষে উঠেছেন। আপাতত তারা শাহ আমানত ও শাহজালাল হলের বিভিন্ন কক্ষে অবস্থান করছেন।

এ বিষয়ে ছাত্রশিবিরের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নথি অনুসারে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমানে হল রয়েছে ১৪টি। এর মধ্যে চালু আছে ১২টি। চালু থাকা হলের মধ্যে ছাত্রদের সাতটি, বাকি পাঁচটি ছাত্রীদের। ছাত্রীদের হলে বরাদ্দপ্রক্রিয়া চলমান। নিয়ম মেনে ছাত্রদের হলগুলোতে সর্বশেষ ২০১৭ সালের জুনে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। ২০১৯ সালে কর্তৃপক্ষ আসন বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তি দেয়। সেবার প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন। এ ছাড়া ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পর আবেদন করেন ১ হাজার ৬০ শিক্ষার্থী। আবেদন করলেও শিক্ষার্থীরা বৈধভাবে হলে উঠতে পারেননি। এত দিন ধরে ছাত্রদের সাতটি হলে একক নিয়ন্ত্রণ ছিল ছাত্রলীগের। তবে এখন ধীরে ধীরে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতা–কর্মীরা এই হলগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করেছেন।