হয়রানি বন্ধে রাবি শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়তা সেল গঠন
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর পরিপ্রেক্ষিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থী যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে অহেতুক হয়রানির শিকার না হন, তার জন্য দুই সহকারী প্রক্টরকে নিয়ে একটি সহায়তা সেল গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সহায়তা সেলের সদস্য হলেন অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন ও ড. রতন কুমার। কোনো শিক্ষার্থী অহেতুক হয়রানির শিকার হলে উপর্যুক্ত দুই শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন যাচ্ছে। এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রণব কুমার পান্ডে স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সংবাদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কর্তৃপক্ষের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে রাবির কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থী যাতে কোনো প্রকার হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।
তাতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, এই বিষয়ে রাবি কর্তৃপক্ষ দুইজন সহকারী প্রক্টরের সমন্বয়ে একটি সহায়তা সেল গঠন করেছে। কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থী যদি অহেতুক হয়রানির শিকার হয় তাহলে সেলের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন (মোবাইল ফোন: ০১৯১৬৩১৪৯৬১) ও ড. রতন কুমার (মোবাইল ফোন: ০১৭১৪৭৮১৭৩৫)—এর সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে। এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের মঙ্গল কামনা করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. আসাবুল হক বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরপরাধ কোনো শিক্ষার্থী যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক অহেতুক হয়রানির শিকার না হন তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এই সহায়তা সেল গঠন করেছি। সহায়তা সেলের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করা হলে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।