নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারে নিন্দা চবি শিক্ষকদের
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ (চবি) বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। শিক্ষার্থীদের বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার ও আটক রাখার প্রতিবাদে এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয়টির ৩০ বিভাগের ৫৭ জন শিক্ষক। বিবৃতি প্রকাশিত হলে সেখানে সম্মতি জানান আরও অনেকে।
আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকবৃন্দ এই বিবৃতি প্রকাশ করেন। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিগত বেশ কিছুদিন ধরে দেশে চরম অরাজকতা চলছে। এ সময় শিক্ষার্থীদের উপর বর্বরোচিত হামলা অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত আন্দোলনরত শিক্ষার্থীসহ, শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত ২০০ জনের অধিক নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পাশাপাশি বর্তমানে আন্দোলন দমানোর লক্ষ্যে দমন-পীড়নমূলক হয়রানি, মামলা ও গণগ্রেপ্তার জারি রয়েছে। দমন-পীড়নের এই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত তিনজন শিক্ষার্থীকে আটক বা ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে আমরা বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছি। এদের ছাড়াও আরও কিছু শিক্ষার্থীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলেও বিভিন্ন সূত্র থেকে দাবি করা হচ্ছে। এসব ঘটনা অত্যন্ত অযৌক্তিক ও উদ্বেগজনক।
শিক্ষার্থীরা গণতান্ত্রিক অধিকারের আন্দোলন করেছেন উল্লেখ করা বিবৃতিতে বলা হয়, চলমান আন্দোলনে আমাদের এই ছাত্ররা যদি অংশগ্রহণ করেও থাকেন তা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের অংশ হিসেবেই করেছেন এবং তারা কোনোভাবেই সহিংসতার সাথে জড়িত নন। এ পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক হিসেবে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি, সব রকম পুলিশি হয়রানির নিন্দা জানাচ্ছি এবং তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।
হত্যাকারীদের বিচার ও শিক্ষার্থীদের মুক্তি চেয়ে শিক্ষকরা উল্লেখ করেন, আমরা চলমান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আজ পর্যন্ত সংঘটিত সকল হামলা-মামলা, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড, গণগ্রেফতার ও হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ যেই হোক না কেন সকল হত্যাকারীকে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানাই। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আটক/গ্রেপ্তারকৃত ছাত্রসহ দেশের সকল নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।