২৯ জুলাই ২০২৪, ১১:২৩

ঢাবির দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টার অভিযোগে’ বিস্ময় শিক্ষক নেটওয়ার্কের

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক  © ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুই সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে করা জিডির বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। তারা এর নিন্দা জানিয়ে অভিযোগ থেকে শিক্ষকদের নাম প্রত্যাহারের আহবান জানিয়েছেন। দুই সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার সংশ্লিষ্টতা স্থাপনের জন্য দয়েরকৃত জিডি প্রসঙ্গে বক্তব্য তুলে ধরে এ আহবান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।

সংগঠনের একে বার্তায় বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক সোনম সাহা একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক গীতি আরা নাসরীন ও সামিনা লুৎফা এবং নাট্যকর্মী ফেরদৌস আরা রুমীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় যে সাধারণ ডায়রি করেছেন, তা জেনে আমরা বিস্মিত হয়েছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের সক্রিয় সদস্য গীতি আরা নাসরীন ও সামিনা লুৎফার বিরুদ্ধে প্রণীত এ সাধারণ ডায়রি দায়েরের ঘটনার নিন্দা জানাই

জিডিতে বলা হয়েছে, ২৪ জুলাই কে বা কারা অভিযোগকারী সোনম সাহাকে পথ রুদ্ধ করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে এবং এজন্য অনুমানের ভিত্তিতে, অভিযুক্ত তিনজনের ফেসবুক পোস্টকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আমরা মনে করি, ২৪ জুলাইয়ের কথিত হুমকির সঙ্গে গীতি আরা নাসরীন ও সামিনা লুৎফার সংশ্লিষ্টতা স্থাপনের চেষ্টা নেটওয়ার্কের সাম্প্রতিক অবস্থানে তাদের সক্রিয়তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্রের অংশ। 

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে যে হত্যাকাণ্ড, সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনা ঘটেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে, যখন আন্দোলনকারীদের বেআইনীভাবে ব্যাপক ধরপাকড় ও অপহরণ করা হচ্ছে, তখন এধরনের বিষয়কে আমরা বিচ্ছিন্নভাবে দেখছি না। সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এধরনের অভিযোগ করা হলে, থানা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়। এক্ষেত্রে সেরকম ঘটে থাকলে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অন্য সহকর্মীদের বিরুদ্ধে থানা-পুলিশ করতে সোনম সাহাকে নিবৃত না করতে পারাকে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা হিসেবে আমরা উল্লেখ করতে চাই।

আরো পড়ুন: প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগি ঢাবি শিক্ষকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে জিডি

শিক্ষকরা বলছেন, চলমান দমনপীড়নের মধ্যে, সরকারের দায়িত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উক্তিতে ’সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার’ যে ঘোষণা শোনা যাচ্ছে, যার মধ্যে ছাত্র-জনতার পাশে দাঁড়ানো শিক্ষকরাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। তার সঙ্গে এ ঘটনার যোগসাজস থাকতে পারে বলে তাদের কাছে প্রতীয়মান হয়। তাদের সন্দেহ, ২৪ জুলাই যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা ২৮ জুলাইয়ে একটি-দু’টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করার মধ্য দিয়ে জাতির কাছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের গ্রহণযোগ্যতাকে হেয় প্রতিপন্ন করার ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। তারা এহেন হীন প্রচেষ্টাকে ধিক্কার জানান। 

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক আশা করে, সোনম সাহা তার অভিযোগ থেকে অভিযুক্ত তিনজনের নাম প্রত্যাহার করে বিচক্ষণতার পরিচয় দেবেন।