কোটা আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত রাবির হলগুলো পরিদর্শন করলেন উপাচার্য
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিভিন্ন আবাসিক হল পরিদর্শন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার। রোববার (২৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের কক্ষগুলো দিয়ে পরিদর্শন শুরু করেন তিনি। পরে নবাব আব্দুল লতিফ হল, মাদার বখ্শ হল ও শহীদ জিয়াউর রহমান হল পরিদর্শন করেন উপাচার্য।
এ সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. তারিকুল হাসান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক সরকার, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নাসিমা আক্তার, পরিবহণ দপ্তরের প্রশাসক মোকছিদুল হক, লিগ্যাল সেলের প্রশাসক ড. সাদিকুল ইসলাম সাগর ও সংশ্লিষ্ট হলের প্রাধ্যক্ষদ্বয় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. নাসিরুদ্দিন বলেন, ১৬ তারিখে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আড়ালে একদল কুচক্রী মহল আমাদের হলে প্রবেশ করে প্রায় ১১টি কক্ষে ভাঙচুর চালান। এতে অনেক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমার হলের। এছাড়াও প্রভোস্ট কক্ষ এবং হলের মূল ফটকের জানালার কাচ ভাঙচুর চালান তারা। এ আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের আড়ালে একদল কুচক্রী মহল এ হামলা চালান বলে জানান তিনি।
পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ১৬ তারিখ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ধ্বংসযজ্ঞ ঘটেছে এতে প্রশাসনিক ভবনসহ ৯টি হলের ১৫৮টি কক্ষে ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে আনুমানিক ৪ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে ছিল হলে হলে ভাঙচুর, সাইকেল ও মোটরসাইকেল অগ্নিসংযোগ ও ল্যাপটপ ভাঙচুর করা হয়েছে।
হল খোলার বিষয়ে উপাচার্য বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা হলে খুলতে চাই কিন্তু এর আগে হলগুলো ঠিকঠাক করতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটিকে ৮ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় ও তদন্ত প্রতিবেদন শেষ হলেই আমরা হলগুলো মেরামতের কাজ শুরু করব। হল মেরামতের কাজ শেষ হলেই হল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।