ডাকসুর সাবেক নেতা আখতার হোসেন আটক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। কাউকে পরিচয়পত্র দেখানো ছাড়া ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ছয়টি সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে পুলিশ। এ সময় ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনকে তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ। আজ দুপুর আড়াইটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পুলিশ পাঁচটি সাউন্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটালে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং পরে ঘটনাস্থল থেকে আখতার হোসেনকে তুলে নিয়ে যায়। এর কয়েক মিনিট পর পুলিশ রোকেয়া হলের কাছে আরেকটি সাউন্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটায়, এতে একজন সাংবাদিক আহত হন এবং আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন সাংবাদিকের পুলিশের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। সাংবাদিকরা প্রশ্ন তোলেন, কেন সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করা হচ্ছে? প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের ঢুকতে বাধা দিতে পুরো টিএসসি এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষে ছয়জন নিহত ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধসহ হল ছাড়ার ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন ঢাবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এতে ছাত্ররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে জড়ো হতে থাকলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে এমন ঘটনা ঘটে। এ সময় দুজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। পরে বিকেল ৩টার দিকে আরও তিনটি সাউন্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটায় পুলিশ। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিকেল ৩টার দিকেও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছিল।
বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা ‘সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত, মানি না মানবো না’; ‘হল আমার বাড়িঘর, হল আমি ছাড়ব কেন’; ‘আমার ভাই মরলো কেন, জবাব চাই দিতে হবে’; ‘পুলিশ দিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’; ‘হল ছাড়ার সিদ্ধান্ত, মানি না মানবো না’; ‘ক্যাম্পাসে রক্ত ঝরে, ভিসি কী করে’; ‘ছাত্রলীগ হামলা করে, ভিসি কী করে’; ‘সাঈদ ভাই মরলো কেন, পুলিশ তুই জবাব দে’; ‘হলে হলে দুর্গ গড়, ছাত্রলীগ প্রতিহত কর’ স্লোগান দিতে থাকেন।