১৭ জুলাই ২০২৪, ১৬:০২

জবির হল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার

  © সংগৃহীত

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল এবং একমাত্র ছাত্রী হল বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থীদের বিকেল সাড়ে ৪ টার মধ্যে হল ত্যাগ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশনা দেওয়ার আগ থেকেই শিক্ষার্থীরা হল না ছাড়ার ঘোষণা দেন।

আজ বুধবার উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে ৯৭ তম জরুরি সিন্ডিকেটে এসব সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছিলেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আইনুল ইসলাম। 

হল ত্যাগের এমন সিদ্ধান্তের পর বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন ছাত্রীরা। শিক্ষার্থীরা সবাই একে একে হলের নিচে নেমে আসে। তারা সবাই জড়ো হয়ে হলের প্রভোস্টের রুমের সামনে অবস্থান নিয়েছে। এসময় তাদের বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের প্রতি তারা তীব্র প্রতিবাদ জানায়। এসময় তারা প্রভোষ্টকে অবরুদ্ধ রাখে। এক পর্যায়ে হল প্রভোস্ট দীপিকা রানি সরকার ছাত্রীদের কাছে ২০ মিনিট সময় চেয়ে নেন। এর মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে ছাত্রীদের জানানো হবে বলে আশ্বস্ত করেন। পরবর্তী হল প্রভোস্ট এবং হাউজ টিউটররা এসে পুনরায় মেয়েদেরকে হলে থাকার ঘোষণা দেন।

এসময় প্রভোস্ট দীপিকা রানি সরকার বলেন, যে সকল শিক্ষার্থী হলে থাকতে চায়, তারা থাকতে পারবে। যারা চলে যেতে চায় তারা চলে যাবে। বিদ্যুৎ, পানি সবকিছু সচল থাকবে।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হল প্রভোষ্টকে লিখিত আকারে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি দিতে বলে। বিজ্ঞপ্তি না প্রকাশ করা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা হল প্রভোষ্টের রুম ও অফিস রুম তালা দিয়ে আবদ্ধ করে রাখে।

এক শিক্ষার্থী বলেন,আমাদেরকে এমন একটা পরিস্থিতিতে হল ছাড়তে বলা হচ্ছে এটা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। আমরা হল ছাড়বো না। আমরা প্রভোস্টের সাথে কথা বলেছি। তিনি আমাদেরকে বলেছেন পরবর্তী কোনো নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত তোমরা হলে থাকতে পারবে। আর হলের সকল সার্ভিসও চালু থাকবে। আমরা লিখিত আকারে নোটিশ চেয়েছি, যেন আমরা থাকতে পারি।

এ বিষয়ে কথা বলতে হলের প্রভোস্ট ড.দীপিকা রানি সরকারকে কল দেওয়া হলে এখন কথা বলা যাবে না, তিনি একটা ইস্যুর মধ্যে আছেন বলে কেটে দেন। পরবর্তীতে অনেকবার চেষ্টা করেও তারা সাথে যোগাযোগ করা যায় নি।