তিন ব্যাচমেটকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করল রাবির দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীরা
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করায় একই ব্যাচের তিনজনকে বয়কট করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এর আগে, একই অপরাধের কারণে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের একজন এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের একজনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।
যাকে বয়কট করা হয়েছে তিনি ওই বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। তারা নাম এ.এইচ. মাহফুজ (আদিল)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের 'মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম' নামক সংগঠনের সহ-সভাপতি। অন্যদিকে যাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে তার নাম শামসুল আরিফিন খান সানি তিনি বিভাগটির ৩২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও রাবি শাখা ছাত্রলীগের কর্মী।
যাদের বয়কট করা হয়েছে তাদের নাম সুদীপ দাস, অপু মন্ডল অংকন ও জিদনি রহমান। তারা সবাই ওই বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। সুদীপ দাস শহীদ হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। অপু মন্ডল অংকন মাদার বখ্শ হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জিদনি রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের 'মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম' নামক সংগঠনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।
শিক্ষার্থীদের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের '৬৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা বিবৃতি দিয়েছিলাম, চলমান আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপরে হামলায় কেউ সহযোগিতা করলে বা সমর্থন দিলে তাকে আমরা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করব। সে অনুযায়ী দর্শন বিভাগের অপু মন্ডল অংকন-কে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে হবিবুর হলে গিয়ে সরাসরি আক্রমণ করার কারণে আমরা সম্মিলিতভাবে অবাঞ্ছিত ঘোষণা বা বয়কট করছি।
তারা আরো লিখেছেন, শিক্ষার্থীদের উপর বর্বর হামলার পরোক্ষ সমর্থনের জন্য একই ব্যাচের সুদীপ দাস এবং জিদনি রহমান-কেও বয়কট করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হল ছাড়বেন না রাবির শিক্ষার্থীরা, ৩ দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের ব্যাচের সকলের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষি আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম যে, আমাদের কোনো ব্যাচমেট যদি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় বা হামলা চালানোর কাজে চেষ্টা বা সহায়তা করে তাহলে তার সাথে আমরা ক্লাস করব না। তাকে বয়কট করা হবে। কিন্তু অপু মন্ডল অংকন-কে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে হবিবুর হলে গিয়ে সরাসরি আক্রমণ করতে দেখা যায়। এসব বর্বর হামলার পরোক্ষ সমর্থন করে সুদীপ দাস ও জিদনি রহমান। তার প্রতিবাদস্বরূপ উপর্যুক্ত তিনজনকে আমরা ম্মিলিতভাবে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।