প্রসঙ্গত মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দিবাগত রাত দেড়টায় হলজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। হল প্রাধ্যক্ষের সার্বক্ষণিক হলে থাকার কথা থাকলেও এসময় হল প্রাধ্যক্ষকে হলে পাওয়া যায়নি।
ঢাবির জহুরুল হক হলে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা
কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে উত্তেজনা এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা ককটেল বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে হলটিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে ঢাবির ৫টি মেয়েদের হলে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়।
বুধবার (১৭ জুলাই) ভোর ৫টায় হলের প্রোভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহিম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থীদের জন্য নিম্নোক্ত নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
১. শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে স্থায়ীভাবে সকল প্রকার ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলো।
২. কোনো বহিরাগত হলে অবস্থান করতে পারবে না।।
৩. শিক্ষার্থী কোনও প্রকার ক্ষতির (শারীরিক ও মৌখিক) সম্মুখীন হলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৪. প্রশাসনিকভাবে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সিট বণ্টনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৫. হলের সকল ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ সময় রাত দেড়টার দিকে হলের শিক্ষার্থীরা কোটা আন্দোলনের পক্ষে একটি মিছিল নিয়ে হলের টিনশেড থেকে প্রধান ভবন হয়ে বর্ধিত ভবনের (এক্সটেনশন বিল্ডিং) দিকে যায়। এ সময় হলে থাকা ছাত্রলীগের কয়েকজন পদপ্রত্যাশী দ্রুত হল ছাড়েন।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘একশন টু একশন, ডাইরেক্ট একশন,’ ‘আমার ভাই কবরে, প্রশাসন নীরব কেন’, ‘জহুরুল হক হলে পুলিশ কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। পাশাপাশি হলের ফটকে থাকা ছাত্রলীগের ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে খুলে ফেলেন।
পরে ভোর পৌনে ৫টায় হলগেটে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান ছাত্রলীগের নেতারা। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগ নেতাদের কক্ষ ভাঙচুর করেন। পাশাপাশি হলে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ও অভিযুক্তদের হল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানালে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে প্রশাসন।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘একশন টু একশন, ডাইরেক্ট একশন,’ ‘আমার ভাই কবরে, প্রশাসন নীরব কেন’, ‘জহুরুল হক হলে পুলিশ কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। পাশাপাশি হলের ফটকে থাকা ছাত্রলীগের ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে খুলে ফেলেন।