৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিরোধীদের ‘আনফ্রেন্ড’ করছেন ঢাবি অধ্যাপক জামাল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম মোহাম্মদ (আ ক ম) জামাল উদ্দিন। কখনো নির্বাচন নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে, কখনো মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে পবিত্র কোরআন থেকে দলিল দিয়ে, কখনো সহকর্মীর গায়ে হাত তুলে আবার কখনো শিক্ষক সমিতিকে বিতর্কিত করে, নানা সময়ে নানান বিতর্কিত বক্তব্য রেখে সমালোচনা কুড়ান তিনি।
এবার চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনেও একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে ফের আলোচনায় এসেছেন ঢাবির এই অধ্যাপক। এই আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার দায়ে সম্প্রতি নিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে বিভাগের ডিবেটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক থেকে বহিষ্কার করার পর তার নিজের ফেসবুক আইডি থাকা কোটা বিরোধীদের ‘আনফ্রেন্ড’ করার ঘোষণা দিয়েছেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে এক স্ট্যাটাসে অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দিন লিখেছেন, “আপনার যারা বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য ৩০% কোটা সমর্থন করেন না, তারা আমাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাবেন না। সবাইকে আনফ্রেন্ড করা হয়েছে।”
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই স্ট্যাটাসে আড়াই হাজারের বেশি রিয়্যাক্ট, ৭০০-এর বেশি কমেন্ট ও দেড়শ বার শেয়ার করেছেন ব্যবহারকারীরা। মো. হাসনাইন নামে একজন মন্তব্য করেছেন, “আমাকেও আনফ্রেন্ড করছে”। আকরাম হোসেন নামে আরেকজন মন্তব্য করেছেন, “৩০ লাখ শহীদের পরিবারের জন্য কোটা কই? তাদের তালিকা বের করে তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার উদ্যোগ কেনো নেয়া হলো না?”
এর আগে গত ২৭ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে মুক্তিযোদ্ধা কোটার পক্ষে দলিল তুলে ধরেন অধ্যাপক জামাল। অধিবেশনে শিক্ষক প্রতিনিধি থেকে নির্বাচিত সিনেট সদস্যের বক্তব্যে তিনি বলেন, পবিত্র কোরআনের সুরা আনফালে পরিষ্কারভাবে বলা আছে, ‘যারা বিজিত বাহিনী হবে তারা দেশের সম্পদ, চাকরি, অর্থ ও ভূখণ্ডের ৮০ ভাগ অর্থাৎ ৪ ভাগের নিয়ন্ত্রণ পাবে। আর বাকি একভাগ থাকবে দুঃস্থ এতিমদের জন্য।’ তার এমন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয় এবং নেটিজেনদের সমালোচনায় পড়েন প্রফেসর জামাল।