১০ জুলাই ২০২৪, ২৩:৩৩

এবার ঢাবির ক্যান্টিনে ভাজা ডিমের সঙ্গে তেলাপোকা!

  © সংগৃহীত

খাসির মাংসের সাথে টাকা, তরকারির ভেতর রাবার ব্যান্ডের পর এবার ডিম ভাজির সাথে পাওয়া গেল তেলাপোকার ফ্রাই। এমনি ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ক্যান্টিনে। বুধবার (১০ জুলাই) রাতে ঐ হলের ক্যান্টিনে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হোসেন খাবার খেতে গেলে এই দৃশ্যের সম্মুখীন হন বলে জানান। 

জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রিয়াদ হোসেন প্রতিদিনের ন্যায় খাবার খেতে গিয়ে তেলাপিয়া মাছ আর ডিম ভাজি অর্ডার করলে, প্লেটে ডিম ভাজি ঢালার পর ভাজা তেলাপোকা দেখতে পান। ক্যান্টিন মালিককে এ ব্যাপারে অবহিত করলে সে গুরুত্ব দেয় নি বলে জানান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। এর আগেও খাবারে ঘাস ফড়িং পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এসব বিষয় নিয়ে অভিযোগ করলেও ক্যান্টিন মালিক হাবিব তোয়াক্কা করেন না বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী রিয়াদ হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমি আজকে রাতে যখন খেতে যাই ক্যান্টিনে ভাত নিয়ে তরকারি আনতে গিয়েছিলাম। তরকারি এনে যখন খেতে বসি তখন দেখি যে ডিম ভাজি ও মাছের ঝোল এর মাঝে তেলাপোকা। তখন ক্যান্টিন বয় ও ক্যাশ বক্স এর বয় কে দেখালাম বললাম এই সব কি? তখন ক্যান্টিন মালিক হাবিব বলছে, ভুল করে নাকি দিছে। 

এ বিষয়ে সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সায়েদ মাহমুদ ফেসবুক গ্রুপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদে পোস্ট করে লেখেন, জহু হলের হাবিবস ডাইনে তেলাপোকার রেসিপি পাওয়া যায়। দুই দিন আগে শাক নিয়েছিলাম, সেখানে দেখি ঘাসফড়িং এর রেসিপি। কি যে খাওয়াচ্ছে আমাদেরকে আল্লাহ ভালো জানেন। বেঁচে থাকার লড়াইয়ে এসব খেয়ে যেতে হয় নিয়মিত, কর্তৃপক্ষ তো ভালোই খাচ্ছে, এসব দেখার কে আছে? বাজে লেভেলের অখাদ্য কুখাদ্য খেয়ে থাকতে হচ্ছে আমাদের।  

খাবারের অনিয়ম সম্পর্কে জানতে ক্যান্টিন মালিক হাবিব কে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করে নি।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধাক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহিম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস কে বলেন, আমি বিষয়টি শোনার পর ক্যান্টিন পরিদর্শন করেছি। ক্যান্টিনের কিছু জায়গা নোংরা এবং অস্বাস্থ্যকর। আজকের খাবারের বিষয়টি নিয়ে ক্যান্টিন মালিককে জিজ্ঞেস করলে সে বলে তেলাপোকা উড়ে এসে ভুলক্রমে খাবারে পড়েছে। যেহেতু অনিয়ম হয়েছে এজন্য আমি তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। পরবর্তীতে এমন কোন সমস্যা দেখা দিলে আমি তাকে পরিবর্তন করে দিব। পরশুদিন আমার আরেকটি ক্যান্টিন চালু করা হবে। তখন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে সকল ক্যান্টিনের খাবারের মান ভালো হবে বলে আশা করি