১০ জুলাই ২০২৪, ১২:১০

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান জাবি শিক্ষার্থীদের, যান চলাচল বন্ধ

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান জাবি শিক্ষার্থীদের  © টিডিসি ফটো

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে এবং কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। এই প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত অবরোধ চলাকালীন সময়ে মহাসড়কের উভয় লেনে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছে যানজটে আটকে থাকা সাধারণ যাত্রীরা। 

বুধবার (১০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ‘এক দফা’ দাবি আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে।

তবে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরী পরিষেবার গাড়িগুলো শিক্ষার্থীদের অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। 

আন্দোলনের সমন্বয়কদের ঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের আজকের অবরোধ কর্মসূচী সূর্যাস্ত পর্যন্ত অর্থাৎ সন্ধ্যা অবধি পালনের কথা রয়েছে।

এছাড়াও আজ আপীল বিভাগের পূর্নাঙ্গ বেঞ্চে কোটা ইস্যুতে আপীল শুনানি শিক্ষার্থীদের দাবীর বিপক্ষে গেলে দাবী আদায়ে প্রয়োজনে সারাদেশ অচল করে দেওয়ার মত ঘোষণাও দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবিটি হচ্ছে, সরকারি চাকরিতে সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে নূন্যতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোঠা পদ্ধতিকে সংস্কার করা।

যদিও আজ আপীল বিভাগের পূর্নাঙ্গ বেঞ্চে কোটা ইস্যুতে শুনানি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে গেলেও শিক্ষার্থীদের চলমান এই আন্দোলন বন্ধ হবে কিনা সেটি এখনও পরিষ্কার নয়। কেননা বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের বর্তমান এক দফা দাবিটি রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের কাছে।

বিক্ষোভ থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার যুগ্ন আহবায়ক আবদুর রশিদ জিতু বলেন, আমাদের দাবিটি গতকাল সংবাদ সম্মেলনেই পরিষ্কার করা হয়েছে, কাজেই আমাদের এক দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় এক মাস স্থগিত

আপীল বিভাগের শুনানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে আমাদের আন্দোলন ছিল কোটা সংস্কারের আন্দোলন, এখনও আমরা সেটি বলছি। আমাদের দাবি হলো, সরকারি চাকরিতে সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে নূন্যতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোঠা পদ্ধতিকে সংস্কার করতে হবে, দাবিটি আমাদের নির্বাহী বিভাগের কাছে। তাসত্ত্বেও আপীল বিভাগের পূর্নাঙ্গ বেঞ্চে আপীল শুনানি যদি সম্পুর্নভাবে আমাদের পক্ষে যায়, সেক্ষেত্রে আমরা পরবর্তীতে বিবেচনা করবো। 

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে আজ সকাল ১০টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সারাদেশে 'বাংলা ব্লকেড' কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেন আন্দোলনের সমন্বয়কারীরা। 

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আজ শুনানির কথা রয়েছে।