৮ম দিনে চলছে ঢাবি শিক্ষকদের কর্মবিরতি, দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান
সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিয়ে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সারাদেশে শিক্ষকদের সর্বাত্মক আন্দোলনে ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয় অচল হয়ে গেলেও সর্বজনীন পেনশন নিয়ে শিক্ষকদের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো কথা বলেননি। শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর এই বিমুখতার পরও আন্দোলনে কোনো ভিন্নতা নেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির।
অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারি করা সর্বজনীন পেনশন স্কিম (প্রত্যয় স্কিম) বাতিলের দাবিতে ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রায় সকল শিক্ষক। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৪০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে এই সর্বাত্মক কর্মবিরতি। বরাবরের মত ৮ম দিনেও একই কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা বলেন, এতদিন ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয় একসাথে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলো। এখন আমাদের সাথে আরও ৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় একাত্মতা প্রকাশ করেছে। সুতরাং আমাদের আন্দোলন যে যৌক্তিক সেটি আরও স্পষ্ট হচ্ছে। বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সব একই সূত্রে গাঁথা। আজ আমাদের তরুণ শিক্ষকরা বারবার বলছেন হৃদয়ের রক্তক্ষরণের কথা। সে রক্তক্ষরণ প্রধানমন্ত্রীকেই বুঝতে হবে, যেমন বুঝেছিলেন বঙ্গবন্ধু। প্রধানমন্ত্রী চীনে থাকুক বা যেকোনো জায়গায়—আমাদের এই দাবি তাকে দেখতেই হবে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ও সিন্ডিকেট সদস্য আবুল মনসুর আহাম্মদ বলেন, একটি দুষ্টু চক্র সরকারকে ষড়যন্ত্র করে বিপথে পরিচালনা করার চেষ্টা করছে, প্রত্যয় স্কিম সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এ স্কিমের মাধ্যমে বৈষম্যের শিকার হতে যাচ্ছে। আমরা আশা করবো সরকার এই ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখবেন। আমাদের সাথে আলোচনার দুয়ার খোলা আছে। আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করুন। আমরা দ্রুত ক্লাসে ফিরে যেতে চাই।
এসময় বক্তব্য প্রদানকালে শিক্ষকরা বলেন, প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ কিছু লোক শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। প্রধানমন্ত্রীর গতকালের মন্তব্য নিয়ে কাউকে সমালোচনা করতে দেখা যায়নি।