কোটা আন্দোলনে যুক্ত থাকায় ঢাবি ছাত্রকে বিতর্ক ক্লাব থেকে বহিষ্কার
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কোটা আন্দোলন নিয়ে পোস্ট করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান ডিবেটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শনিবার (৬ জুলাই) বিকেলে তাকে সংগঠনটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মোশাররফ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক ছাত্র। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ডিবেটিং ক্লাবের মডারেটর ও একই বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীন তাকে এ বহিষ্কারের নির্দেশনা দেন।
বহিষ্কারের বার্তায় তিনি বলেন, ‘‘বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার জন্য ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে মোশররফকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। নতুন সাধারণ সম্পাদক সারাফ আফ্রা মৌ।’’
তবে মোশররফকে এমন অব্যাহতির বিষয়ে মানতে পারছেন না বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ডিবেটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফকে জোরপূর্বক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মোশাররফের অপরাধ হলো সে কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
তারা বলেন, সবার উচিত সম্মিলিতভাবে মডারেটর পরিবর্তন ও নতুন সেক্রেটারিকে অনাস্থা জানিয়ে চেয়ার বরাবর অভিযোগ দাখিলসহ কেন্দ্রীয় বিতর্ক সংগঠনকে লিখিতভাবে অবহিত করা। এরপর কাজ না হলে গণ পদত্যাগ করা ও সকল বিতর্ক সংগঠনকে চিঠি দেওয়া। যাতে তারা এই ক্লাবকে টুর্নামেন্টে স্লট না দেয়।
বহিষ্কারের বিষয়ে সমাজবিজ্ঞান ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসাইন বলেন, আমি কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে যুক্ত থাকায় আমাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ৷ এই সংগঠনের মডারেটর ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন স্যার একতরফাভাবে কোনো নিয়মের তোয়াক্কা না করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি আদালত অবমাননার কথা বলে আমার নামে মামলা দেওয়ার হুকমি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি এসব হুমকি এবং বহিষ্কার আদেশের কারণে একটুও বিচলিত বা ভীত নই। আমি এবং আমরা সহযোদ্ধারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কোটা সংস্কার আন্দোলন চালিয়ে যাব।
মোশাররফের বহিষ্কারের বিষয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের পক্ষ থেকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ. ক. ম জামালের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তার থেকে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
তবে মোশাররফের বহিষ্কারের বিষয়ে ফেসবুক গ্রুপে দেওয়া বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘‘যারাই সমাজবিজ্ঞান বিভাগে বিতর্কিত-বিভাজিত কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত হবেন, তারা কখনই ছাত্র-ছাত্রীদের সার্বজনীন কমিটিসমূহের নেতৃত্বে আসতে পারবেন না। ক্লাস ক্যাপ্টেনসহ এ জাতীয় কোনো ধরনের নেতৃত্বে আসতে পারবেন না।’’