শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনে অচল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাহারের দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চতুর্থ দিনের কর্মবিরতি পালিত হয়েছে। ফলে অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস পরীক্ষাসহ সকল কার্যক্রম।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে কর্মবিরতি পালন করে শিক্ষক সমিতি। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে প্রশাসনিক ভবনের সামনে কর্মবিরতি পালন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
কর্মসূচিতে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ.বি.এম আবু নোমান বলেন, 'আমাদের সুনির্দিষ্ট তিনটি দাবির প্রেক্ষিতে চতুর্থ দিনের মত আমাদের আন্দোলন চলমান রয়েছে। সরকারের মন্ত্রীর পক্ষ থেকে আজ বসার কথা থাকলেও তা স্থগিত হয়েছে। কাল আবারও বসার সম্ভাবনা রয়েছে। আমারা যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছি। দাবি আদায় হলেই ক্লাসে ফিরে যাবো।
কর্মচারী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছরওয়ার হোসেন খোকন বলেন, সরকার কর্তৃক যে রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়েছে তা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুর্বিষহ। যে টাকা দিয়ে আমাদের বেতন হয় তা দিয়ে আমাদের দিনাতিপাত করতে কষ্ট হয়। এই অল্প বেতন থেকেও আমাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে একটা পরিমাণ রেখে আমাদের এককালীন একটা পারিতোষিক দেওয়া হত যা আমাদের জন্য কল্যাণকর ছিল। কিন্তু সরকারের এই হঠকারী সিদ্ধান্ত প্রত্যয় স্কিম নামক সর্বজনীন পেনশন আমাদের জন্য ক্ষতিকর। আমরা সরকারে কাছে এই পেনশন প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
চবি অফিসার সমিতির কোষাধ্যক্ষ মুশফিকুর রহমান বলেন, দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা আমাদের এই আন্দোলন ও অবস্থান কর্মসূচি চলবে।