ঢাকা ক্লাবের সদস্য হলেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামাল
ঢাকা ক্লাব লিমিটেডের সদস্য হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। মঙ্গলবার (০২ জুলাই) ক্লাবের সভাপতি আশরাফুজ্জামান খান পোটনের কার্যালয়ে অধ্যাপক মাকসুদ কামালের হাতে সদস্য পদের পত্র তুলে দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী এক ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা ক্লাব ঢাকায় অবস্থিত অভিজাত শ্রেণির লোকদের প্রধান সামাজিক সমিতি। শুরুতে এটি ছিল একান্তভাবে শ্বেতাঙ্গ লোকদের বিনোদন ক্লাব। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের পর ঢাকাকে নবগঠিত পূর্ববাংলা এবং আসাম প্রদেশের রাজধানী করা হয়। নতুন প্রদেশ শাসনে আগত ইংরেজগণ কলকাতার বেঙ্গল ক্লাবের আদলে ঢাকায় একটি সামাজিক ক্লাবের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯১১ সালের ১৯ আগস্ট ঢাকা ক্লাব প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ক্লাবটি শাহবাগে অবস্থিত এবং এর চারপাশ ঘিরে রয়েছে ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয়, জাতীয় জাদুঘর, রূপসী হোটেল, বারডেম হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, রমনা পার্ক এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
ঢাকা ক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ক্লাবটিতে প্রবেশাধিকার শুধু সদস্যদের মধ্যেই সংরক্ষিত। শুধু আর্থিক স্বচ্ছলতা নয়, শিক্ষা-দীক্ষা, শিল্প-সংস্কৃতিতে ঋদ্ধ মন এবং সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছেন এমন ব্যক্তিরাই পাচ্ছেন ক্লাবটির সদস্য পদ।
আজীবন ও বিশেষ সদস্য মিলিয়ে ঢাকা ক্লাবের সদস্য তিন হাজারেরও বেশি। শহরের অভিজাত শ্রেণির লোকেরা প্রাণখোলা আড্ডার লোভেই এখানে এসে হাজির হন। আর সেই আড্ডা থেকেই বেরিয়ে আসে অনেক ভালো কাজের পরিকল্পনা। মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, পুনর্বাসন, এমনকি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের জন্য বিশাল অঙ্কের অনুদানের ব্যবস্থাও করেছেন ঢাকা ক্লাবের সদস্যরা।
এ ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ও শীতার্ত ব্যক্তিদের পাশে সব সময়ই তাদের পাওয়া যায়। বর্তমানে প্রায় প্রতিটি জাতীয় অনুষ্ঠানও পালন করছে ঢাকা ক্লাব। পয়লা বৈশাখ, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, নজরুল-রবীন্দ্রজয়ন্তী প্রভৃতি দেশীয় সংস্কৃতির চর্চাও হচ্ছে ব্রিটিশদের হাতে গড়া ক্লাবটিতে।