‘দরিদ্রদের করের টাকায় ধনীর সন্তানদের বিনামূল্যে উচ্চশিক্ষা অযৌক্তিক’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দরিদ্রদের পরোক্ষ করের টাকায় ধনী পরিবারের সন্তানদের প্রায় বিনামূল্যে উচ্চশিক্ষার সুযোগদান অযৌক্তিক। বুধবার (২৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেট উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক বলেন, সমাজের বিত্তবান অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের জন্য উচ্চশিক্ষার যুক্তিসংগত ব্যয় বহন করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে এবং তা থেকে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা সম্ভব হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় বৃদ্ধি করা গেলে সরকারের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে।
এদিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঢাবির ৯৪৫ কোটি টাকার বাজেট পাস করা হয়েছে। এ বছরের বাজেটে বেতন, ভাতা ও পেনশন বাবদ ৬৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা মোট ব্যয়ের ৬৭ শতাংশ।
গবেষণা মঞ্জুরি বাবদ ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা মোট ব্যয়ের ২ দশমিক ১২ শতাংশ। বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে পাওয়া যাবে ৮০৪ কোটি টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৯০ কোটি টাকা। ঘাটতি দাঁড়াবে ৫০ কোটি টাকা, যা প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
কোষাধ্যক্ষ আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেবর বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ মঞ্জুরি কমিশন তার অনুদান যথাযথভাবে বৃদ্ধি করছে না, যা অপ্রত্যাশিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার জন্য বরাদ্দ পর্যাপ্ত নয় মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই সহস্রাধিক শিক্ষক রয়েছেন। প্রত্যেকের জন্য গবেষণায় গড়ে বরাদ্দ হয়েছে ১ লাখ টাকা, যা পর্যাপ্ত নয়। এটি আরও বহুলাংশে বৃদ্ধি করা দরকার।