গ্রিল চুরির পর রাজনীতি থেকে বিদায় নিলেন ছাত্রলীগের জুয়েল

গ্রিল চুরির পর রাজনীতি থেকে বিদায় নিলেন ছাত্রলীগের জুয়েল
গ্রিল চুরির পর রাজনীতি থেকে বিদায় নিলেন ছাত্রলীগের জুয়েল  © ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাহজালাল হলের জানালার গ্রিল চুরি করে বিক্রি করতে যাওয়ার সময় মোহাম্মদ জুয়েল নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে নিরাপত্তাকর্মীরা। গত বৃহস্পতিবার (২০ জুন) হল থেকে গ্রিল চুরি করে বিক্রি করতে যাওয়ার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে ধরা পড়েন তিনি। এ ঘটনায় পর অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ জুয়েল ছাত্র রাজনীতিকে বিদায় জানিয়েছেন।

শুক্রবার (২১ জুন) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।

ফেসবুকে দেয়া পোস্টে জুয়েল বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। এই রাজনীতির জন্য কতবেলা খেয়ে না খেয়ে পড়েছিলাম, তা কাউকে বলে কয়ে বুঝানোর সাধ্য কারোরই নেই। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে অসংখ্যবার ভুল করেছি। ভুল করেছি নিজেকে সর্বেসর্বা ভেবে, নিজের অ্যাকাডেমিক ক্যারিয়ার নিয়ে ছেলেখেলা করে। আমার দুরবস্থা দেখে একজন স্রষ্টার বিচার বলে স্ট্যাটাস দিল। অন্যদের দেখলাম বিভিন্ন পোস্টের কমেন্টবক্সে ঠাট্টা করতেসে। এটাই জীবন। আমার মেনে নিতে হবে।’

নিজের ভুল স্বীকার করে জুয়েল বলেন, ‘ভুল থেকে শিখতে হবে। আমার জন্য যাদের মানসম্মানে আঘাত এসেছে আমি সকলের কাছে নম্রতার সাথে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমাকে আপনারা ক্ষমা করে দেবেন। আমি লজ্জিত। কোন মুখে আমি আবার আপনাদের সম্মুখ হব আমার জানা নেই। আমি এই মুহূর্ত থেকে সকল প্রকার রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন থেকে সজ্ঞানে এবং স্বেচ্ছায় বিদায় নিলাম।’

জুয়েল ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। সাবেক সহ-সম্পাদক ও উপগ্রুপ সিক্সটি নাইনের অনুসারী বলে ক্যাম্পাসে পরিচিত তিনি।

এর আগে গ্রিল চুরির পরে মুচলেকা দিলে তাকে ছেঁড়ে দেয় প্রক্টরিয়াল টিম। প্রক্টুর বরাবর দেয়া মুচলেকায় তিনি বলেন, “আমি এই মর্মে অঙ্গীকার করিতেছি যে, আমি মোহাম্মদ জুয়েল, সেশন ১৭-১৮, ডিপার্টমেন্ট ব্যাংকিং ও বীমা, শাহজালাল হল, রুম নং ৩৩৬ তে থাকি। ভুলবশত কারণে পরিত্যক্ত জানালার দুটি গ্রিল অটোরিকশা যোগে বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে শাহজালাল হল হইতে বাইরে নেয়ার পথে জিরো পয়েন্ট গেটে আটকা পড়ি এবং প্রক্টর মহোদয় উপস্থিত হইলে ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ করিব না মর্মে অঙ্গীকার করলাম। যদি ভবিষ্যতে করি পুলিশ প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে ব্যবস্থা নিবে তা আমি স্বাচ্ছন্দ্যে মানিয়া নিব।”

 

সর্বশেষ সংবাদ