চবিতে ছিনতাইকারীর কোপে আহত বিএমএ ছাত্র, তদন্ত কমিটি গঠন
গতকাল রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছিনতাইকারীদের রামদার কোপে দুজন আহত হয়। এর মধ্যে একজন বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির (বিএমএ) ছাত্র ও অন্যজন তার বান্ধবী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (১৪ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. অহিদুল আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১৩ জুন বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাম বাগান এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে কতিপয় দুষ্কৃতকারী কর্তৃক কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন পেশ করার জন্য নিম্নোক্ত একটি কমিটি গঠন করা হলো। সহকারী প্রক্টর এনামুল হককে আহ্বায়ক, তানবীর হাসানকে সদস্য ও ড. লিটন মিত্রকে সদস্য সচিব করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো। উপর্যুক্ত ঘটনা তদন্ত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কমিটিকে সুপারিশসহ প্রতিবেদন পেশ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
এর আগে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভুক্তভোগী সেনাবাহিনীর কমিশন অফিসার এবং তার বান্ধবী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী পাম বাগানে ঘুরতে যায়। এসময় দুইজন এসে তাদের ওপর আক্রমণ করে। এতে সাজিদের বাহুতে আঘাত লাগে। তার পুরো শরীর রক্তাক্ত হয়ে যায়। তাদের উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সাজিদকে চমেকে পাঠানো হয়।
এ ঘটনার বিষয়ে সাজিদের বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে জানায়, আমার এক বন্ধু বলেছিলো পাম বাগানের দিকে সুন্দর একটি জায়গা আছে। তাই আমরা ওইদিকে ঘুরতে যাই। এরপরই আমাদের ওপর এ হামলা হয়। এতে আমি নিজেও কিছুটা আহত হয়েছি।
ঘটনাস্থলে দুর্বৃত্তদের হামলার সময় সাজিদের মোবাইল ফোন নিচে পড়ে যায়। কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পুলিশ তা পায়নি। ধারণা করা হচ্ছে হামলাকারীরা এটি নিয়ে গেছে। ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগীর মানিব্যাগ ও তার বান্ধবীর হ্যান্ডব্যাগ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন প্রক্টরিয়াল বডির এক সদস্য।