১৩ জুন ২০২৪, ১১:৪৩

ঢাবি ছাত্রকে মারধর করে মাদক মামলার হুমকি দুই পুলিশ কর্মকর্তার

সাফিন উজ জামান  © টিডিসি রিপোর্ট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে মারধর ও মাদক মামলা দেওয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে হাজারীবাগ থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। বুধবার (১২ জুন) রাত সোয়া ৯টার দিকে রাজধানীর হাজারীবাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

ওই শিক্ষার্থীর নাম সাফিন উজ জামান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সদ্য গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভাসহ নানা সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। আর দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন- হাজারীবাগ থানার এসআই সিরাজুল হক ও পুলিশ কনস্টেবল রিয়াজ।

ঘটনার বর্ণনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সাফিন উজ জামান ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘‘আমি একটা রিকশা নিয়ে হাজারীবাগ এলাকায় গিয়েছি। সেখানে আমাদের একটা কাজের সম্মানীর কিছু অংশ একজন আপুকে দিতে গিয়েছিলাম। তিনি অসুস্থ থাকায় তার বাসায় যাওয়ার কথা ছিল। হাজারীবাগ থেকে আমার এক বড় ভাই রিসিভ করবেন, এমনটাই কথা ছিল।

রিকশা থেকে নেমে ভাড়া দিতে গেলে কনস্টেবল রিয়াজ আমার হাত ধরে এবং আমি সেখানে কী করছি জানতে চায়। এ সময় উনি আমার পকেটে হাত দেওয়ার চেষ্টা করেন। পকেটে কিছু টাকা থাকায় আমি তাকে পকেটে হাত দিতে না দিলে সে বলে তোর পকেটে মাদক আছে, আমি চেক করব।

কনস্টেবলের সাথে কথা বলার একপর্যায়ে এসআই সিরাজুল হক আসেন এবং আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় শুনে রাগান্বিত হয়ে কয়েকটা থাপ্পড় দেন। তারপর আমাকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন। একপর্যায়ে, আমার ওই বড়ভাই ওখানে উপস্থিত হলে তাকেওসহ আমাদের দুইজনকেই নির্জনে নিয়ে যেতে চেষ্টা করে, সেখানে মানুষজন থাকায় আড়ালে কোথাও নিতে পারেননি।

পুলিশ আমাদেরকে এক ঘণ্টা বসিয়ে রাখেন এবং নানা ধরনের হুমকি ধামকি দেন। সর্বশেষ, তারা আমাদেরকে বলেন, আপনারা চলে যান এবং আজকের ঘটনা কাউকে বলবেন না। যদি বলেন তাহলে আরো খারাপ কিছু হতে পারে।’’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। তবে আমরা আমাদের নীতি অনুযায়ী যতটুকু করা সম্ভব করবো।

হাজারীবাগ থানার ওসির সাথে যোগাযোগ সম্ভব না হলেও ডিউটি অফিসার এসআই তাহমিনা গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত এরকম কোনো ঘটনার খবর পাইনি। তবে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য এসআই সিরাজুল হক এই থানায় কর্মরত; সেটা তিনি নিশ্চিত করেন। কিন্তু কনস্টেবল রিয়াজের বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি।