৫৪ ঘন্টা পর চিকিৎসকের পরামর্শে অনশন ভাঙলো আখতার
দীর্ঘ ৫৪ ঘন্টা পর চিকিৎসকের পরামর্শে অনশন ভেঙেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আখতার হোসেন। এর আগে দুপুরে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যান বন্ধুরা। পরে সেখানে বিকাল সাড়ে পাঁচটায় চিকিৎসকের পরামর্শে ফল মুখে নিয়ে অনশন ভাঙেন তিনি। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন আখতারের আবাসিক হল মুক্তিযুদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিয়া উদ্দিন।
এর আগে দুপুর ২ টার দিকে রাজু ভাস্কর্যে এসে অনশনকারী এ শিক্ষার্থীকে অনেকটা জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী। কিন্তু আখতারের দাবি না মানায় অনশন ভাঙতে অস্বীকার করেন তিনি। তখন জোরাজুরির একপর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে দাবি না মেনে জোর করে অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করার প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন। বৃহস্পতিবার বিকালে এক প্রেস বিজ্ঞাপ্তিতে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দাবি না মেনে জোর করে অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করার প্রতিবাদ জানান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আখতারের এক বন্ধু দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আখতার মরে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কিছু যায় আসে না। তার অবস্থা খারাপ দেখে আমরা উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সামাদ ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সাদেকা হালিমের কাছে যাই। কিন্তু তাদের কিছু করার নাই বলে জানান তাঁরা।
প্রসঙ্গত, ‘ঘ’ ইউনিটে পরীক্ষার পূর্বেই প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেন আখতার হোসেন। তিনি বিশ্ববিদ্যোলয়ের আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী ‘দ্যা ডেইলি ক্যম্পাসকে’ বলেন, আমরা তাকে বুঝাতে গিয়েছিলাম। প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি আমরা পর্যালোচনা করছি বলে তাকে বুঝেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেশের বাইরে আছেন। সেই সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছি। সে অসুস্থ্ বোধ করছে বলে আমরা তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। সে এখন ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।