ঢাবিতে ‘ছোটোদের তাজউদ্দীন আহমদ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও গবেষক ‘নাসরিন জেবিন’ লিখিত 'ছোটোদের তাজউদ্দীন আহমদ' গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বইটি ২০২৪ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় “নবান্ন প্রকাশনী” থেকে প্রকাশিত হয়। শনিবার (৮জুন) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে এই প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ও স্যার এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট ড. মো. রফিকুল ইসলাম।
ছোটোদের তাজউদ্দীন আহমদ বইটি নিয়ে আলোচনা করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আহম্মেদ শরীফ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুমিত আল রশিদ।
বই সম্পর্কে অনলাইনে অডিও বার্তায় বঙ্গতাজ কন্যা শারমিন আহমদ (রিপি) বলেন, নাসরিন জেবিন রচিত ‘ছোটোদের তাজউদ্দীন আহমদ’ বইটির গুরুত্ব ব্যাপক। বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের সফল কাণ্ডারি তাজউদ্দীন আহমদ কে নিয়ে ছোটোদের উপযোগী করে অজস্র বই হওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল, কিন্তু বাস্তবে আমার জানামতে হাতেগোনা মাত্র দুটি বই রয়েছে। এই বইটির মধ্যে খুঁজে পাওয়া যাবে এমন একজন নেতা ও মানুষকে যার দৃষ্টান্তকে অনুসরণ করে শিশু-কিশোররা হয়ে উঠবে আদর্শ মানুষ।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি বলেন, ‘এই বইটি একটি অনুপ্রেরণা হিসেবে ইতিহাসের পাতায় রয়ে যাবে। শিশুদের উপযোগী করে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ কে নিয়ে নাসরিন দুর্দান্তভাবে বইটি লিখেছে। আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।’
লেখিকা নাসরিন জেবিন অনুষ্ঠানে নিজের বই সম্পর্কে অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বলেন – “তাজউদ্দীন আহমদের প্রতি আমার মুগ্ধতা শুরু হয়েছিল আমার বিভাগের সেমিনার লাইব্রেরিতে, তাঁর সম্পর্কে পড়তে গিয়ে। তখন আমি তরুণ স্নাতক। তাঁর সম্পর্কে যতই পড়ছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি। কারণ তাজউদ্দীনের সাথে শৈশবে আমাদের খুব একটা সখ্য গড়ে ওঠে না। তাঁকে খুঁজে পেতে হয় স্বেচ্ছায়। আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিলো। এই দারুণ ইতিবাচক মানুষটির মানবিক গুণাবলি, বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় দুর্দান্ত দক্ষতা, ভিন্ন মতের প্রতি সহনশীলতা, আইন ও রাজনীতি বিষয়ক জ্ঞানের গভীরতা, পরিবেশ সচেতনতা, দূরদর্শিতা, জীবপ্রেম, সহশিক্ষা কার্যক্রম আমাকে দারুণভাবে মুগ্ধ ও অনুপ্রাণিত করেছে। আমি চাই আমাদের শিশু-কিশোররা হ্যাশট্যাগের এই যুগে দেশপ্রেম ও মূল্যবোধ সম্পর্কে জানুক। বইটিতে ছোটোদের উপযোগী শব্দ চয়ন করা হয়েছে যাতে খুদে পাঠকরা বইটি পড়তে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। মূলত তাজউদ্দীন আহমদের জীবনের একটি প্রাণবন্ত ছবি আঁকার চেষ্টা করা হয়েছে এই বইতে।”