কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ও গতকাল বুধবার (৫ জুন) দেশের ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এ কর্মসূচি থেকে কোটা বাতিলের দাবি জানানো হয়। কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত বাতিল করা না হলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
আজ বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হয়ে মিছিল নিয়ে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা কোটা নয়, মেধা চাই; কোটা পদ্ধতি নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক স্লোগান দেন এবং প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। পরে মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয় এবং সেখানে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই সময় আন্দোলনকারীরা কোটা প্রথা বাতিল না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
একই দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। সকালে মিছিল শেষে তারা প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ৫ মিনিটের জন্য প্রতীকী অবরোধ করেন। সেখানে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তারা কোটা বাতিল না হলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় সরকারি চাকরিতে সব ধরনের কোটা বাতিলের দাবি জানান তারা। পরে মিছিল নিয়ে বাহাদুর শাহ পার্ক ঘুরে প্রধান ফটকের সামনে সমাবেশ করেন আন্দোলনকারীরা।
কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের দেওয়া রায় প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীরা। দুপুরে মিছিল শেষে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রশাসনিক ভবনে সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। বক্তারা সরকারি চাকরিতে কোটা কোটা পুনর্বহাল বাতিলের দাবি জানান।
এদিকে, বুধবার রাত ১০টার দিকে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে আন্দোলনে সমবেত হন শত শত শিক্ষার্থী। এসময় কোটা পুনর্বহালের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের। তারা বলছেন, হাইকোর্টের জারি করা এ রায় তারা মানতে নারাজ।
দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে সব ধরনের কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার। গতকাল বুধবার হাইকোর্ট পরিপত্রটি অবৈধ ঘোষণা করে। প্রতিবাদে ওইদিন থেকেই সরব হয়েছেন শিক্ষার্থীরা।