রাবি ছাত্রলীগ সম্পাদককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা ক্রিয়াশীল সাত সংগঠনের
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবকে হল থেকে অপসারণ, অবৈধভাবে হলে অবস্থান ও ভর্তি জালিয়াতির দায়ে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল সাতটি ছাত্র সংগঠন। এছাড়া ক্যাম্পাসে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন তারা। বুধবার (৫ জুন) সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
সংগঠনগুলো হলো- সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, নাগরিক ছাত্র ঐক্য, ছাত্র ইউনিয়ন, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও ছাত্র গণমঞ্চ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেন, অছাত্র গালিব জাল সনদে জুলাই ২০২১ সেশনে সান্ধ্য মাস্টার্স কোর্সে ভর্তির আবেদন করে এবং ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে তা বাতিল করা হয়। অর্থাৎ জালিয়াতি শনাক্ত করতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ সময় নিয়েছে প্রায় ২ বছর ২ মাস। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের তথ্য যাচাইয়ের এই দীর্ঘসূত্রিতা স্বাভাবিকভাবে নেওয়ার অবকাশ নেই। এছাড়া সাংবাদিকতা বিভাগ ভর্তি বাতিলের বিষয়টি জনসমক্ষে স্পষ্ট করেছে আরো ৯ মাস পর। যার মাঝে উক্ত অছাত্র ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয় এবং নিপীড়ক সংগঠনটির যাবতীয় অপকর্মে নেতৃত্ব দিতে থাকে।
প্রকৃতপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষা, গবেষণার মানোন্নয়নের বদলে ছাত্রলীগ নামক নিপীড়ক সংগঠনের অপকর্মে পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। কর্তাব্যক্তিরা ছাত্র সংসদ নির্বাচন না দিয়ে, অছাত্র দিয়ে হলগুলো দখল করিয়ে এবং অছাত্রদের দিয়ে কমিটি দেওয়া ছাত্রলীগকে সংগঠন করার সুযোগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংকট তৈরি করে রেখেছে। এতে প্রকান্তরে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানটি আওয়ামী ফ্যাসিবাদ টিকিয়ে রাখার একটি যন্ত্রে পরিণত হয়েছে। যা এই প্রতিষ্ঠানকে গৌরবান্বিত করা শহীদ শামসুজ্জোহা, শহীদ হবিবুর রহমান, শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার, শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ুম সহ অন্যান্য অসংখ্য সৎ ও শিক্ষানুরাগী শিক্ষকের কীর্তির প্রতি অবমাননা। বিজ্ঞপ্তিতে তারা উল্লেখ করেন।
বক্তারা আরো বলেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে ড্রপ আউট গালিবের দীর্ঘ ৬ বছর যাবত ছাত্রত্ব না থাকলেও সে অবলীলায় মাদর বখ্শ হলের ২১৫ নাম্বার কক্ষ (চার আসনবিশিষ্ট) এবং বর্তমানে বঙ্গবন্ধু হলের ২২৮ নাম্বার কক্ষ (চার আসনবিশিষ্ট) একাই দখল করে আছেন। অবৈধভাবে হলে অবস্থানরত অবস্থায় গালিব হলে দখলদারিত্ব, শিক্ষার্থীদের মারধর, ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজিসহ বহুবিধ অপরাধের নেতৃত্ব দিয়েছে এবং তা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। আমরা রাবির ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন সমূহ অভিযুক্ত ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।